যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের ১৪ বাড়ির তথ্যটি ‘ডাহা মিথ্যা’

ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গত ৯ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এ বিষয়ে গতকাল রোববার ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিবাদ জানান উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি একটি ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট প্রতিবেদন বিধায় ঢাকা ওয়াসা ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করছে। ঢাকা ওয়াসা মনে করে, শিরোনামসহ প্রকাশিত সংবাদটি হীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কল্পনা প্রসূত, ভিত্তিহীন ধারণার ওপর তৈরি প্রতিবেদন। বাস্তবতার সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো সামঞ্জস্য নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় এ রকম কোনো বাড়ির মালিকানা ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নেই। (বরং, উনার স্ত্রী, যিনি ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন, তার নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে)। একটি স্বার্থান্বেষী মহল হীনস্বার্থ চরিতার্থের

জন্য এ জাতীয় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন করিয়েছে। ঢাকা ওয়াসা এ জাতীয় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেখানে প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাড়িই নেই, সেখানে কল্পিত সব ‘বাড়ির দাম টাকার অংকে হাজার কোটি ছাড়াবে’ এমন সংবাদ পরিবেশন শুধু মিথ্যাচারই নয়, একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মঠ, সফল ব্যবস্থাপনার রূপকারের সম্মানের ওপর আঘাতের শামিল।

প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এক সময় যে ঢাকা শহরে পানির জন্য হাহাকার ছিল, সেই মহানগরীতে ২০১০ সালে ‘ঘুরে দাঁড়াও ঢাকা ওয়াসা’ কর্মসূচির আলোকে ঢাকা ওয়াসা পানি সরবরাহ ও পয়ঃ সেবা ঢেলে সাজানো তথা আধুনিকায়নের জন্য দুটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে। মাস্টার প্ল্যান দুটি তৈরির রূপকার প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। ওয়াটার মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এরই মধ্যে রাজধানীবাসীকে দৈনিক পানির চাহিদার শতভাগ সরবরাহ করছে ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন সক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশি। দৈনিক চাহিদা যেখানে প্রায় ২৪৫ থেকে ২৫০ কোটি লিটার, সেখানে দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০ থেকে ২৭৫ কোটি লিটার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় ঢাকা ওয়াসা আজ পানি সরবরাহে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী পানি ব্যবস্থাপনায় শতভাগ সফলতা দেখিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা ‘রোল মডেল’ বলে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো উল্লেখ করছে। এমন অবস্থায় প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের নামে কল্পিত গোয়েন্দা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বিবেচনার দাবি রাখে।