দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি

চার সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে তদন্ত করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থপাচার করে দুবাইয়ে সম্পদ গড়ে তোলা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।

এর আগে গত ১১ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ থাকার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন জানানো হয়। অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস জনস্বার্থে এ আবেদন করেন। বিএফআইইউ, দুদক, এনবিআর ও সিআইডিসহ সংশ্লিষ্টদের আবেদনে বিবাদী করা হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রপার্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ আবেদন করা হয়। ওই প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি ও আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।