ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইভিএম প্রকল্প নিয়ে চিন্তায় ইসি

ইভিএম প্রকল্প নিয়ে চিন্তায় ইসি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে চিন্তায় পড়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ একনেক সভায় উঠতে পারে প্রকল্পটি। এ প্রকল্পটি কোনো কারণে পাস না হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের উপর আস্থা রাখবে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র জানায়, আজকের একনেক সভার কার্যতালিকায় ইভিএম প্রকল্প নেই। তারপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হওয়ায় এটি টেবিলে উঠতে পারে। তবে এ প্রকল্প নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা দফায়দফায় বৈঠক করেছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেছেন, ইভিএম প্রকল্প নিয়ে আমি কিছু বলবনা। ইভিএম প্রকল্প একনেকে উঠবে কিনা জানি না। কেউ যদি প্রকল্পটি একনেকে উঠার কথা বলে থাকে তাহলে সেটার দায় দায়িত্ব তার। তবে পরিকল্পনা কমিশনের একটি সূত্র জানায়, আজ ইভিএম প্রকল্পটি একনেকে পাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, চলতি মাসের মধ্যে ইভিএম নতুন প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রকল্পের অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব বলে আমরা বলেছিলাম। এক্ষেত্রে প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে বর্তমানে যা আছে তাই দিয়েই ভোট করবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব নিয়ে নীতি নির্ধারকদের (মন্ত্রণালয়/সরকার) সঙ্গে কথা হয়নি। এটার রীতিও নেই। ইসি সচিবালয় হয়তো কথা বলেছে। আমাদের সক্ষমতা যা আছে, তাই করবো। আমাদের সক্ষমতা তো জানা মতে, ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার মতো আছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারের কাছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তাব এখনো পাস হয়নি। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর পাঁচশোর বেশি নির্বাচন ইভিএমে করেছি। সেখানে কোনো সমস্যা হয়নি। কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে শতভাগ কেন্দ্রে ইভিএমের ব্যবস্থা করা। আমরা এখন পর্যন্ত অনড় ইভিএমে ভোটের ব্যাপারে। আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করে পরিকল্পনা কমিশন মূল্যায়নের পর সিদ্ধান্ত জানানো যাবে। জানা যায়, আরও ২ লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ফেরত পাঠায় ইসিকে ব্যয় কমানোর জন্য। যাছাই-বাছাই করে আবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় ইসি। তবে প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর আগে পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানানো হয়, যত শিগগির সম্ভব ইভিএম কেনার প্রকল্পটি অনুমোদন করানো হবে। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ইভিএম শুধু ফল দেয়, এটি একটি যন্ত্র, তাকে যা ইনপুট দেয়া হবে, তার ফলাফল সে প্রদর্শন করবে। তবে এর পেছনে যারা থাকে, তারাই দুষ্কর্মগুলো করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত