সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবির পাশাপাশি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। চট্টগ্রামে এ কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের সঙ্গে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। এসময় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ ও মিছিল করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। এ সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে ২৫ জানুয়ারি সব মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সমাবেশ শেষে জনদুর্ভোগ এড়াতে সংক্ষিপ্ত রুটে মিছিল করে দলটি। বিকাল সোয়া চারটায় মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় ঘুরে ফকিরেরপুল মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার নয়া পল্টনে এসে শেষ হয়। দেশের বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব, বিজয়নগর, আরামবাগ ও কারওয়ানবাজার এলাকায় যুগপৎভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সমমনা বিভিন্ন দল ও জোট। তবে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্যের কারণে ৭ দলীয়-গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে যোগ দেয়নি গণঅধিকার পরিষদ। আর বিএনপির সঙ্গে নতুন করে দূরত্ব সৃষ্টির কারণে গঅবস্থানের মতো গতকালের কর্মসূচিও পালন করেনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া নতুন করে ১২ দলীয় জোটও গতকালের কর্মসূচি পালন করেনি। এর পরিবর্তে আজ তারা আলাদাভাবে বিক্ষোভ করবে বলে জানা গেছে। এতে বিএনপির যুগপৎ কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন : পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকে ঘিরে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বিকালে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ দফা দাবি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নাসিমন ভবনের সামনে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। কাজীর দেউড়ি থেকে একটি মিছিল নাসিমন ভবনের দিকে আসার সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ পিছু হটে শিশুপার্কের দিকে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় থাকা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশের একটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেয়। নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা অকারণে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন দেন। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। আটক করা হয়েছে বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে। ঘটনার পর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অবস্থান করছিল। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন বেশ কিছু নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বলেন, পুলিশের ওপর তাদের কেউ হামলা করেননি। পুলিশই তাদের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে। ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। আহত হয়েছেন তাদের ২০ নেতাকর্মী।
নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ, ২৫ জানুয়ারি সব মহানগর ও জেলায় সমাবেশ : যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশ করবে দলটি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার কোনো নিয়ম-কানুন ও বিদ্যুৎ কমিশনকে তোয়াক্কা না করে দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, বিএনপি সরকারের সময় বিদ্যুতের ইউনিট ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা, আর এখন ১১ টাকা দিতে হয় এক ইউনিটে। তিনি বলেন, সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে, ক্যাপাসিটি চার্জ নামে জনগণের পকেট কাটছে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে, গত ১০ বছরে দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ রিজার্ভ সংকট, ব্যাংকে তারল্য সংকট। আজকে বাংলাদেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যা গত ১২ বছরে সরকারের কারণে হয়েছে। আজকে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি গরিব হয়ে গেছে। সরকারের হটানোর আন্দোলনে ইস্পাতকঠিত গণঐক্য সৃষ্টি করতে বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে এজন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, যেখানেই গণতন্ত্র সেখানেই বিএনপির অবদান। আর যেখানে আওয়ামী লীগ সেখানেই গণতন্ত্রকে হত্যা। তাই আজকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে, এদেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ইস্পাতকঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে আগামী দিনে সরকার বিদায়ের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে। আমরা এ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সব প্রকার আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আগামীদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিকভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করবো।
খন্দকার মোশাররফের বক্তব্যের পর তার নেতৃত্বে বিকাল সোয়া চারটায় সেখান থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। জনদুর্ভোগ এড়াতে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত রুটে হবে বলে আগেই ঘোষণা দেয়া মঞ্চ থেকে। সে অনুযায়ী মিছিলটি কাকরাইলের নাইটেঙ্গল মোড় ঘুরে ফকিরেরপুল মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার নয়া পল্টনে এসে হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আবদুস সালাম আজাদ বক্তব্য দেন।
গণতন্ত্র মঞ্চ : সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় কর্মসূচি হিসেবে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেনি গণঅধিকার পরিষদ। অসুস্থতার কারণে সমাবেশে আসেননি গণতন্ত্র মঞ্চের দুই শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না। গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, গণঅধিকার পরিষদ গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে আছে। দলীয় সিদ্ধান্তে এই সমাবেশে অংশ নেয়নি গণঅধিকার পরিষদ। ১১ জানুয়ারি যুগপৎ আন্দোলনের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হকের দেশে এসে সরাসরি যোগ দেয়ার কথা ছিল। তবে কর্মসূচি দ্রুত শেষ হওয়ায় তিনি তাতে অংশ নিতে পারেননি। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, ১১ জানুয়ারির সমাবেশে নুরুল হকের অংশগ্রহণের বিষয়টি গণতন্ত্র মঞ্চের অন্য নেতাদের জানালেও তারা সমাবেশ দীর্ঘায়িত না করে দ্রুত শেষ করে দেন। এ কারণে নুর সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি। এর প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ সোমবারের কর্মসূচিতে অংশ নেয়নি। এদিকে গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ থেকে আগামী ২৫ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মার্কবাদী-লেলিনবাদী) সাধারণ সম্পাদক গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের হারুন চৌধুরী, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক কমরেড আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের হারুন আল রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে জোটের নেতাকর্মীরা পুরানা পল্টনে নিজেদের কার্যালয়ে যায়।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট : গুম-খুন, দমন-পীড়ন, অত্যাচার-নির্যাতন করে চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তিনি বলেছেন, আমরা রাজপথে আছি, রাজপথেই থাকব। যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ।
সমাবেশে জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, যুগ্ম সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মহাসচিব ব্যারিস্টার নাসিম খান, বিকল্পধারার মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ মো. বাদল, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকীসহ জোটের নেতারা বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে মৎস্যভবনের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
এলডিপি : পূর্বপান্থপথের এফডিসি সংলগ্ন সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। এতে অংশ নেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, এসএম মোরশেদ, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ প্রমুখ।
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট : ‘সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের’ উদ্যোগে গতকাল সকাল ১১টায় রাজধানীর আরামবাগ নটরডেম কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ফকিরাপুল মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার পুরোদেশকে নরকে পরিণত করেছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে লুটপাটকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। বিদ্যুতের বর্ধিত দাম কমাতে হবে। তিনি ১০ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারর প্রতি আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে ছিল না ১২ দলীয় জোট : পরপর দুটি কর্মসূচি বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে পালন করলেও গতকাল মাঠে নামেনি ১২ দলীয় জোট। তবে একই ইস্যুতে সকাল ১১ টায় জোটটি বিজয়নগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জানিয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গতকালও বিএনপির যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেনি বলে জানা গেছে।