স্মার্ট বাংলাদেশ

বিনির্মাণে দরকার স্মার্ট কর্মীবাহিনী

বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মীবাহিনী দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ চাই। আওয়ামী লীগকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি-মাস্তানি করবে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই চলবে।

গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মুখে বলি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। নেতা হয়ে মঞ্চে উঠলে আদর্শের কথা মনে থাকে না। নেতাদের ভিড়ে আসল কর্মী চেনা দায়। মুখে আওয়ামী লীগের আদর্শ লালন করবেন, অন্তরে সে আদর্শ লালন করবেন না, তেমন নেতার দরকার নেই।

সব সময় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাবে কে? ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার শক্তি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।

ঢাকা সফরে আসা মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা শুনে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির হতাশা থেকে অসুস্থতার শুরু হয়েছে। আসল নেতারা হাসপাতালে। পাতি নেতারা বলেছে, সুনামি নামিয়ে সরকার হটাবে। আন্দোলনের সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কথা বলে নদীর ঢেউও তুলতে পারল না।

বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫৪ দলের মধ্যে ৫৪ মতে বিভক্ত। হতাশায় বিএনপির বাজার ভেঙে যাচ্ছে, বিএনপির জোটের বাজার ভেঙে যাচ্ছে। এ হতাশার জোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার হটানো দূরাশার বাণী।

সরকারের পরিবর্তন চাইলে বিরোধীদের নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাবে না। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশনার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার কথা ভুলে যান। আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। বিএনপির অস্বাভাবিক আবদার পূরণে সাপোর্ট না দেয়ার কারণেই তারা এই নির্বাচন কমিশন চায় না।

বিএনপি নির্বাচনে আসবেই, সব হারিয়ে আসবে, মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের টাকা আসে কোথা থেকে, সেটা আমরা জানি। যারা শেখ হাসিনা সরকারকে হটানোর জন্য টাকা দিচ্ছে, তাদের খবর আছে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।