ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খালেদার সঙ্গে ফখরুলের সাক্ষাৎ

আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে নিশ্চুপ বিএনপি

আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে নিশ্চুপ বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বেগম জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করেন মির্জা ফখরুল। ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ শেষে রাত ১০টার দিকে বাসভবন ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেলেও সাক্ষাতের কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে কেউ কিছু বলেননি। মির্জা ফখরুল নিজেও গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি বলে জানা গেছে। দীর্ঘ এক মাসের বেশি কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম। জামিনের পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তাই সাক্ষাতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের খোঁজখবর ছাড়াও দলীয় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শাইরুল কবির খান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব কোনো কথা বলেননি। সাক্ষাতের পরদিন তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে গেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে খালেদা জিয়া মোটামুটি সুস্থ আছেন জানিয়ে শাইরুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামের’ স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে প্রতিদিনই এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা কেউ না কেউ বাসায় যান। এছাড়া পরিবারের সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে তাকে দেখাশোনা করেন। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলীয় নেতা বা অন্য কারোর সাক্ষাতের বিষয়ে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে বলে জানান চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ম্যাডাম এখন রাজনীতি করছেন না। তাছাড়া তিনি পুরোপুরি সুস্থও না। সে কারণে যে কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না।

সূত্র মতে, গত ১০ ডিসেম্বরের ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক লোক আহত হন। এর পরদিন ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। এরপর থেকে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারাভোগের দীর্ঘ এক মাস পর গত ৯ জানুয়ারি কারামুক্ত হন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস। এর কয়েকদিন পর দুই নেতাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তিও হন। এর কিছুদিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশ কিছুদিন বন্দি অবস্থায় হাসপাতালেও ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। পরে দফায় দফার তার এ মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এরমধ্যে গত বছর বেশ অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েক দফায় তিনি দীর্ঘ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এসময় উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন করা হলেও, তা আমলে নেয়নি সরকার। এ অবস্থায় গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। সেখানের তার সময় কাটছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত