ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ
থানা-ওয়ার্ডের পদ বাগিয়ে নিতে তৎপর বিতর্কিতরা
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাহাত হুসাইন
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা-ওয়ার্ডের কমিটি গঠনে বিতর্কিত ব্যক্তিদের সামনে আনা হচ্ছে। দক্ষিণের শীর্ষ দুই নেতার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক আসামী ফ্রিডম মানিকের ঘনিষ্ঠ শিষ্য, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, রাজাকারের সন্তান, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত নেতা, এমনকি শৃঙ্খলা ভঙ্গে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত নেতাকেও পদপদবিতে আনতে প্রস্তাব করা হচ্ছে। এছাড়াও সদ্য ছাত্রলীগ থেকে বিদায় নেয়া কাউকে-কাউকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে প্রস্তাব করা হচ্ছে। এদিকে বিত্তশালী লোকদেরও পদে রাখার প্রস্তাব করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ড-ইউনিট এবং থানা সম্মেলনে কমিটি গঠনের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাব-কমিটি করে দিয়েছিল। ওই সব সাব-কমিটি সফলভাবে সম্মেলন করলেও এখন কমিটি গঠনে তাদের মতামত গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর আগে কমিটি গঠন করা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ক্যাসিনোকাণ্ড, টেন্ডার-চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, বলয় সৃষ্টিকারী এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করতে গিয়ে দল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলা কোনো নেতাকে কমিটিতে রাখা যাবে না।
তবে নিজেদের বলয় ঠিক রাখতে ফের চিহ্নিত বিতর্কিতদের কমিটিতে রাখতে ওঠে পড়ে লেগেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ দুই নেতা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক নেতা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা কোনো পাত্তা পাচ্ছে না সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের কাছে। থানা ও ওয়ার্ডের কমিটি গঠন নিয়ে সাব-কমিটির কার্যক্রম শুধুই মাত্র আই ওয়াস। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আনুষ্ঠানিক দপ্তর। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নিয়মিত আসেন না শীর্ষ এই দুই নেতা। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতারা ভিড় করেন তাদের বাসায় ।
এ বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী এই প্রতিবেদককে বলেন, কমিটি করব, কী করব না, এটা আপনাকে কেন বলব। এটা তো আমি শেখ হাসিনাকে বলব। কমিটি হচ্ছে না। থানা ও ওয়ার্ড কিমিটি নিয়ে এখনও কোনো কথা হয় নাই, বসা হচ্ছে। যখন বসা হবে, তখন আমরা বিষয়টি দেখব। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেই নাই। কারণ, আমাদের একটার পর একটা কর্মসূচি থাকছে। অনেক সময় আপনারা না জেনে নিউজ করেন, আমাদেরও খারাপ লাগে, আপনাদেরও খারাপ লাগে। কমিটি এখন পর্যন্ত প্রস্তত করি নাই। মেয়র সাহেব দেশের বাহিরে, আসবেন আজ-কালের মধ্যে। তিনি আসলে তার সঙ্গে বসব। কারণ তিনি আমাদের দেখেন। তিনি আমাদের মেয়র ও শেখ পরিবারের লোক তার তো দেখার এখতিয়ার আছে। অনেক সম্মেলন উনাকে নিয়ে করেছি। মেয়র আসলে তাকে নিয়ে বসব, তখন আপনাআপনি খবর পেয়ে যাবেন। এদিকে দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।