ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল অভিযাত্রায় বাংলাদেশে অব্যাহত থাকবে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা

বললেন অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবাগ
ডিজিটাল অভিযাত্রায় বাংলাদেশে অব্যাহত থাকবে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা

আগামীতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিকাশে সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। গতকাল রোববার দুপুরে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘সেলিব্রেটিং ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা জানান তিনি। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে ট্রটসেনবার্গ বলেন, অতীতের মতোই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্ট-আপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ আলাদা পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনকালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ পরিকল্পনায় আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্ট-আপ কোম্পানি গড়ে তোলা হবে বলে জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করেছি। এ মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে আমরা এর চারটি স্তম্ভ, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি এর আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামীতে নতুন একটি ডেটা সেন্টার তৈরিতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৩৫টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, আবাসিক প্রতিনিধি (এসএসিবিবি) আবদেললাহি সেক, প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাটগি এবং ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, আবাসিক প্রতিনিধি (এসএসিবিবি) আবদেললাহি সেক, প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাটগি এবং ডিজিটাল ডেভেল্পমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এলআইসিটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে তিনজন তাদের জীবনের সফলতার গল্প তুলে ধরেন। এছাড়াও অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইবাস প্লাসসহ ডিজিটাইজেশনের ফলে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পরে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বিসিসি ভবনে স্থাপিত ডেটা সেন্টার, আইডিয়া প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত