ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন

স্পিকারের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন সিইসি

স্পিকারের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন সিইসি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে গতকাল নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সংসদ সচিবালয় থেকে সময় পেয়েছি। দুপুর ২টায় স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাক্ষাৎ করবেন।

এর আগে গত রোববার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন উপলক্ষ্যে সিইসির সাক্ষাতের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

এদিকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারির ১৯ বা ২০ তারিখকে ভোটগ্রহণের তারিখ হিসেবে চূড়ান্ত করে ৪ বা ৫ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ এপ্রিল। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান রয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইসি ভোটার তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে। জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার উপযোগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইসির পরিকল্পনা ছিল। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদের ছয়টি আসনের উপনির্বাচনের কারণে তারা কিছুটা সময় নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ভোটের পর নির্বাচিত এমপিরা শপথ নেয়ার পরপরই তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তফসিল ঘোষণা হবে। অবশ্য আইন অনুযায়ী এক বা একাধিক সংসদীয় আসন শূন্য থাকলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইনগত কোনো বাধা নেই। সর্বশেষ ২০১৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগেও দুটি সংসদীয় আসন শূন্য ছিল।

অবশ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ার শতভাগ সম্ভাবনায় নির্বাচন কমিশনকে ভোটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনই নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। কেবল আনুষ্ঠানিকতার জন্যই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

সংসদের চলতি অধিবেশনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি অধিবেশন ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিদ্ধান্ত থাকলেও এই মেয়াদ বাড়তে পারে। কার্যউপদেষ্টা কমিটির প্রধান ও জাতীয় সংসদের স্পিকার তার ক্ষমতা বলে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো বা কমানোর এখতিয়ার রাখেন। কার্যউপদেষ্টা কমিটি তাকে এই ক্ষমতা দিয়ে থাকেন।

দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রণীত ১৯৯১ সালের আইন ও বিধিমালার আলোকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মেয়াদ পূর্ণ, মৃত্যু কিংবা পদত্যাগ ও অপসারণের কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়ে থাকে। এর আগে প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও ১৯৯১ সালের ২ জুলাই সংবিধানের ১২তম সংশোধনীতে পরোক্ষ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

সংবিধান অনুযায়ী ৩৫ বছর তা তারও বেশি বয়সি এবং সংসদ সদস্য নির্বাচনের যোগ্য যে কোনো ব্যক্তিই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে সংসদ সদস্য থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময়ও তার সঙ্গে একজন সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ‘নির্বাচনি কর্তা’ হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনি কর্মকর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হবে। এর মুড়ি অংশে স্বাক্ষর দিয়ে ভোটারদের ব্যালট পেপার সংগ্রহ করতে হবে। ভোট দেয়ার পর সংসদ কক্ষে স্থাপিত এক বা একাধিক ব্যালট বাক্সে তা জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত