নতুন জঙ্গি সংগঠন

‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শূরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

গত ২০-১০-২০২২ তারিখে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব সদর দপ্তর, গোয়েন্দা শাখা এবং র‍্যাব-৭ এর বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সমতল থেকে পাহাড়ে আত্মগোপনকৃত ৭ জঙ্গি এবং তাদের সহায়তাকারী তিনজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১-১০-২০২২ তারিখে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ৭ আসামির মধ্যে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার উপ-প্রধান সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিলাইছড়ি থানায় রুজুকৃত মামলার তদন্তকারী অফিসার বিজ্ঞ আদালতে পাঁচজন আসামির রিমান্ড আবেদন করেন। পরবর্তী সময় বিজ্ঞ আদালত সংগঠনটির সামরিক শাখার উপ-প্রধান সৈয়দ মারুফ আহমেদ ওরফে মানিকসহ পাঁচ আসামির ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সৈয়দ মারুফ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদে সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক ধারাবাহিকতায় র‍্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে, জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান রনবীর মাসুদ এবং আইইডি বা বোমা বিশেষজ্ঞ মো. আবুল বাশার মৃধা আলম ওরফে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প- ৭ এর অ ব্লকে গতকাল সোমবার ভোরে র‍্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র‍্যাব-২, র‍্যাব-৩ এবং র‍্যাব-১৫ এর যৌথ চিরুনি অভিযান শুরু করে। ব্লকটি ঘেরাওয়ের সময় সামরিক শাখার প্রধান রনবীর এবং বোমা বিশেষজ্ঞ বাশার পালানোর চেষ্টাকালে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি ব্লাংক কার্টিজ, দুটি একনলা বন্দুক, ১১টি ১২ বোরের কার্তুজ, একটি খালি খোকা, ১০০ রাউন্ড .২২ বোরের গুলি, একটি মোবাইল, নগদ ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ টাকা। উল্লেখ্য, র‍্যাব কর্তৃক প্রকাশিত পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫৫ জনের তালিকায় গ্রেপ্তারকৃত আবুল বাশারের নাম রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল বাশার জানায় যে, গত ৩ অক্টোবর র‍্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর আবুল বাশার ৫৫ জনের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাহাড় থেকে পালিয়ে সিলেট গমন করে এবং সামরিক শাখার প্রধান রনবীরের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন। তারা দুইজন বেশ কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।