কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না

বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই বাংলার মাটিতে কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না । তাদের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন। সারা বছর, প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করে একমাত্র দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগে নিয়ম অনুযায়ী সব হয়। এরমধ্যে তিনটি জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেছে সময়ের আগেই। ফখরুল সাহেব, কবে সেক্রেটারি হয়েছেন মনে আছে? বিএনপির কোনো সম্মেলন হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? তাদের ঘরেই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে শেখ হাসিনা কাউকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেননি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে টিম গঠন করতে হবে। লোক নিয়োগ করতে হবে।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের ইতিহাস জানতে এবং পড়াশোনা করার পাশাপাশি নিয়মিত পত্রিকা পড়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া অপপ্রচারের জবাব দিতে সেল গঠনেরও নির্দেশ দেন। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারই বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মেরে জানাজাও দিয়ে দিয়েছে। কোন দল এটা করে, এটা কারা করেছে সবাই দেখেছে। এটা তারাই করে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক এবং নষ্ট রাজনীতির ধারক-বাহক। প্রধানমন্ত্রীকে যে ভাষায় গালাগাল-মিথ্যাচার করে আরেকটি ৭৫ ঘটানোর হুমকি দেয়, এদের সঙ্গে সহজ ভাষায় কথা বলে, আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, এগুলো জেনে কি আমরা চুপচাপ থাকব?

এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ? করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন করছেন না? কতদিন আগে সম্মেলন করলেন। কিছু লোক বলেন, তাদের কোনো পদ নেই। সেজন?্য আরম্ভ করতে পারছি না, কাজ করতে পারছি না। পকেটের লোক ঢুকাবেন না। আত্মীয়-স্বজন দিয়ে কমিটি করা যাবে না। কমিটি করতে হবে দলের ত?্যাগী, দুঃসময়ে যারা ছিল, সুখে-দুখে যারা দলে ছিল, তাদের দিয়ে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটিতে ত্যাগী, দুঃসময়ের কর্মী, সুখে দুঃখে যারা থাকে তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। আত্মীয়-স্ব^জন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না। কর্ম দেখে নেতা বানাবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিরা।