ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১ ফেব্রুয়ারি ছয় আসনে উপনির্বাচন

ভোট নিয়ে নেই আলোচনা নেই আগ্রহ-উত্তাপ

ভোট নিয়ে নেই আলোচনা নেই আগ্রহ-উত্তাপ

বিএনপির ছেড়ে দেয়া জাতীয় সংসদের শূন্য ছয় আসনে উপনির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ ও উত্তাপ দেখা যায়নি। এসব আসনের কয়েকটিতে ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলগুলোর প্রার্থী না দেয়ায় আরো অগ্রহ কমেছে ভোটে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ছয় আসনে উপনির্বাচনি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আগের সংসদ নির্বাচনের মতো এ ভোটে তেমন বেশি আগ্রহ ও উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না। জাতীয় পর্যায়ের এ ভোট নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। গণমাধ্যমে বগুড়া আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে নিয়ে কিছুটা আলোচনা হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ছয় আসনের উপনির্বাচন নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে। তারা (ইসি) আগে থেকে মনে করছেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না ও সহিংসতারও তেমন আশংকা নেই।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী আমাদের ভোট করা প্রয়োজন তাই আমরা তা করছি। কে নির্বাচনে আসল না আসল আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করুক। ভোট নিয়ে সব প্রস্ততি রয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ হবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ছয় আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে প্রার্থীদের প্রচার বন্ধ করতে হবে। সে হিসেবে (৩০ জানুয়ারি) সোমবার ছয় আসনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে। এর আগে ছয় আসনের ভোটে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছিল ১৬ জানুয়ারি। এই হিসেবে প্রার্থীরা প্রচারের সময় পাবেন ১৪ দিন। এই সময়ের পরে সকল ধরনের মিছিল, শোভাযাত্রা, সভাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম থেকে দূরে থাকতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবে ইসি। এছাড়া মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, যারা বিভিন্ন মেয়াদের জেলা-জরিমানা করতে পারেন। তাই রিটার্নিং অফিসারের মাধ্যমে প্রার্থীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ছয়জন, বগুড়া-৪ আসনে নয়জন, বগুড়া-৬ আসনে ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ছয়জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ১৩ জন মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব আসনের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়েছে ১৫ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়।

এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার ভিত্তিতে ইসি ছয় আসনে উপনির্বাচনের তফসিল দেয়। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।

এদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা) ছয় আসনে উপ-নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জাপা চেয়েছিল তাদের আসনগুলোর বেশিরভাগ ছাড় দেয়া হবে। কিন্তু শরিক দলগুলো প্রার্থী দেযায় সে আশা পূরণ হয়নি জাপার। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে আসতে হবে জাপার প্রার্থীদের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত