‘জাতিকে এগিয়ে নেয়ার পথে অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি’

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথে ভাষা আন্দালন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের সব ধাপের সাক্ষ্য বহনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলার গুরুত্ব অনেক বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকে রোমন্থন করার মধ্য দিয়ে নিজেদের শেকড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসা অনেক তাৎপর্য বহন করে। এ ধরনের আয়োজন সমাজ গঠনে, পরিবার গঠনে এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে খুবই সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। জাতিকে এগিয়ে নেয়ার পথে বিভিন্ন যুগের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় জরুরি।’

গতকাল শুক্রবার বেড়া সরকারি বিপিন বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে আয়োজিত বেড়া পৌরসভাধীন তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৮১ ও ৮২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, এতিহ্যবাহী বেড়া বিপিন বিহারী হাইস্কুল আমাদের অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বৃহত্তর পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একসময় প্রতিবছর বোর্ডে স্ট্যান্ড করত। কৃতী শিক্ষার্থীদের তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ দেখতে আসতো। এই প্রতিষ্ঠানের আমিও একজন ছাত্র ছিলাম, জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্লোগান দিতে গিয়ে আমি বৈজ্ঞানিক, প্রকৌশলী বা আমলা হতে পারিনি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। আমার এই অর্জন, প্রিয় শিক্ষকদের শিক্ষার সুফল ও জনগণের আশির্বাদ। আমি জাতির পিতার প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠান শেষে মো. শামসুল হক টুকু প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে সমাহিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল খালেকের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করেন।

সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. এসএম আসিফ শামস রঞ্জন, মঞ্জুর কাদের মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবু সাঈদ বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বেড়ার বিপিন বিহারী, হাইস্কুল ও গার্লস হাইস্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।