ভোট হবে ইভিএমে

জাতীয় সংসদের ৬ আসনে আজ উপনির্বাচন

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ছেড়ে দেয়া জাতীয় সংসদের শূন্য ছয় আসনে ভোট গ্রহণ আজ। ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদ থেকে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের বিএনপি এমপিরা পদত্যাগ করায় এ ছয়টি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। আসনগুলোর মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এছাড়া জাসদ ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টি এই দুই শরিক দলের জন্য দুটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে দলীয় কোনো প্রার্থী না দিয়ে তা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। এ আসনে বিএনপির পদত্যাগী এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ফের প্রার্থী হওয়ায় এরই মধ্যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফের নিখোঁজের ঘটনায় সরকারি কোনো বাহিনী জড়িত নয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করতে পারেন জানিয়ে মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা একটা ভিডিও দেখেছি, তাতে মনে হয়, আত্মগোপনের পরিকল্পনা আগেই করা ছিল এবং সেটাই ঘটেছে। তাকে খুঁজে পেলে বিষয়টি জানা যাবে। আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে যে, তাকে খুঁজে বের করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখতে হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, সরকারি কোনো বাহিনী এই কাজটি করেনি।

তিনি বলেন, তার নিখোঁজের সংবাদ যেহেতু গণমাধ্যমে এসেছে, এরপর আমরা মাঠ প্রশাসনে কথা বলেছি। এরপর ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। কী ঘটেছে সে রিপোর্ট চেয়েছি। তারা বলেছেন, ওই ব্যক্তি কোথায় আছে, সেটা একবার চিহ্নিত করা গিয়েছিল। ফোন বন্ধ ছিল বলে পরে আর অবস্থান জানা যায়নি। তাকে খুঁজে বের করতে সব সরকারি সংস্থা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটা লোক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে থাকে, তাহলে তো তাকে খুঁজে বের করা কঠিন। আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তাতে আত্মগোপনে আছেন বলেই ধারণা জাগে। এছাড়া যে রেকর্ড আছে, তাতে তিনি তার স্ত্রীকে বলছেন যে, কী কী আনতে হবে। সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ১০ মিনিট পর উনি বের হলে চালু করতে হবে, তার মানে কী? মানে হচ্ছে যে, তারা একটা পরিকল্পনা করেছে, এটাই আমরা অনুমান করছি। হয়তো তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বা তার নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এমনটি করতে পারে।

ইসি আনিছুর আরও বলেন, নিখোঁজ হলে থানায় বা রিটার্নিং অফিসারকে কেন পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়নি। থানায় একটা জিডি তো করতে হয়, আপনারা তো করেননি। কেন করেননি তার স্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন সময় পাননি। রিটার্নিং অফিসার আমাদের কাছে একটা জিনিস পাঠিয়েছেন। সেখানে তারা স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সুস্পষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি উদ্ঘাটনে দায়িত্বরতদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তাকে লুকএট করা মাত্রই মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসা হবে।