পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩

জাতিসংঘ মহাসচিবের নিন্দা

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পুলিশ লক্ষ্য করে একটি মসজিদে বিস্ফোরণের পর ধ্বংসাবশেষ থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৮৩ জনের বেশি লোকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এই ‘ঘৃণ্য’ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন ‘ভয়াবহ হামলার’ জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। খবর : বিবিসির

পাকিস্তানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর পুলিশ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে একটি মসজিদে সোমবার বিকালে এই বিস্ফোরণ ঘটে। নিহতদের অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার পর দেশটিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।

আফগানিস্তান সীমান্ত বরাবর প্রাক্তন উপজাতীয় এলাকায় যেখানে জঙ্গিবাদ ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে, তার কাছেই প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারী সংস্থার একজন মুখপাত্র জানান, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কাউকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা কম।

পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ ইজাজ খান বলেছেন, মসজিদে ৩০০ থেকে ৪০০ জন পুলিশ নামাজ পড়ছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতরা হামাগুঁড়ি দিয়ে ধ্বংসাবশেষ থেকে বেরিয়ে আসে। পেশোয়ারের প্রধান হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ আসিম খান জানান, ঘটনাস্থল থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। নিহত পুলিশ সদস্যদের গার্ড অব অনার দিয়ে দাফন করা হয়েছে। অন্যান্য প্রদেশগুলোতে বিস্ফোরণের পর সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। চেকপয়েন্ট বাড়িয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদের ভবন এবং শহরের প্রবেশপথে স্নাইপার মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করে তাদের ভয় দেখাতে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।

বেঁচে যাওয়া একজন পুলিশ সদস্য বলেন, নামাজ শুরু করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি বলেন, ‘আমি আকাশে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেছি। আমি আমার জীবন বাঁচাতে দৌড়ে বাইরে গিয়েছিলাম।’ ‘মানুষের আর্তনাদ এখনও আমার মনে প্রতিধ্বনিত হয়।’

ঘটনার দিনই সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ইসলামাবাদ যাওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সফরটি বাতিল করা হয়।