অনিয়ম-দুর্নীতি

৬৯ জনকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিয়েছে ইসি

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছেÑএমন ৬৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের চূড়ান্ত শাস্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা গেছে, তাদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন ২৫ জন, একজন উপসচিব ও একজন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন তিনজন। আর তৃতীয় শ্রেণির ২৫ জন ও চতুর্থ শ্রেণির ১৬ জন। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। আরও জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কাউকে কাউকে পদাবনমিত করা হয়েছে। অনেকের ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত। আবার কেউ কেউ ‘তিরস্কার’ বা ‘সতর্ক’ হওয়ার মতো শাস্তিও পেয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান পলাতক থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা কর্মকর্তা এস এম নাসির উদ্দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও আর্থিক অনিয়ম করায় তার বেতন বৃদ্ধি এক বছরের জন্য স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বরখাস্ত হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমকে আহমেদ অবৈধ আর্থিক লেনদেনের কারণে ৩ বছরের জন্য তার বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া এনআইডি জালিয়াতি ও অনিয়মের কারণে উপসচিব মো. নওয়াবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম, অমিত কুমার দাশ বেতন গ্রেডের নিম্নতম ধাপে অবনমিত হয়েছেন। ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এনআইডি সংক্রান্ত অনিয়মের কারণের তিরস্কৃত হয়েছেন। লাইব্রেরিয়ান মো. নাসিমুল হক অবৈধ অর্থ লেনদেনের কারণে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। অন্য কর্মকর্তাদের কাউকে সতর্ক করা হয়েছে। আবার কারও বেতন বৃদ্ধি বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত করা হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলিমুল রাজী নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে এক বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের শাস্তি পেয়েছেন। চাকরি দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করায় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলামের বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিত করাসহ ৭ বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিতের শাস্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মজিবুর রহমান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বেতন নিম্নতর গ্রেডে অবনমিতকরণের শাস্তি পেয়েছেন। এদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও অনেকে বরখাস্ত হয়েছেন। অনেকে বেতন বৃদ্ধি বিভিন্ন মেয়াদে আটকে দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিত হয়েছেন।