ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস আজ

সারা দেশে আজ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ’। গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। স্মার্ট দেশ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রধান গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মুন্সী। এসময় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দেশের সব পর্যায়ের জনগণকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত ও সচেতনতার লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর এবং এর আওতাধীন বিভাগীয় জেলা, উপজেলা গণগ্রন্থাগার একযোগে দিবসটি পালন করবে।

গণগ্রন্থনাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে এর তাৎপর্য ও গুরুত্বের ওপর এক বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বইপাঠ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, বাংলা একাডেমি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি, বাংলাদেশ গ্রন্থাগারিক ও তথ্যায়নবিদ সমিতি, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সমিতি, বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পেশাজীবী, ইসলামি ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একযোগে দিবসটি পালন করবে।

রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন। তিনি তার বাণীতে বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার চর্চা বাড়াতে হবে।

আবদুল হামিদ বলেন, বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু, যা জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় ও মানবসত্তাকে জাগ্রত করে। মনের খোরাক মেটানোর পাশাপাশি বই মানুষের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে নিজেকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতেও সহায়তা করে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার চর্চা বাড়াতে হবে- উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কালের পরিক্রমায় সভ্যতার সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে গ্রন্থাগার।

তিনি আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষে বই সংরক্ষণ ও পড়ার অভ্যাস ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে মানুষকে বই পড়ায় উৎসাহিত করতে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রন্থাগার হলো তথ্যের অফুরন্ত ভা-ার। সরকার সর্বসাধারণের জন্য আধুনিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধাসম্পন্ন গ্রন্থাগার নির্মাণে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে পাঠক, গবেষক ও তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে গ্রন্থাগারের ভূমিকা আরো আকর্ষণীয় ও কর্মপোযোগী হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত