এক মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল, ৫টির কার্যক্রম স্থগিত

সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই কারণে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে মন্ত্রী আরো জানান, দেশে বর্তমানে মোট ৭৬টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ (আশুলিয়া), নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (ঢাকা), নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ (রংপুর), আইচি মেডিক্যাল কলেজ (উত্তরা) এবং শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজের (রাজশাহী) কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি ৬৬টি মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তদারকি করে। একই সঙ্গে অধিভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তদারকি করা হয়। এছাড়া বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২২ এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার মান তদারকি করা হয়।

তিনি জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ও ৫টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত ও একটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়। এর আগে কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।