ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চেতনায় একুশ

১২ থেকে ১৫ মার্চ ধর্মঘট পালন করা হয়

১২ থেকে ১৫ মার্চ ধর্মঘট পালন করা হয়

রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসেন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে ছাত্রদের একটি দল রমনা পোস্টঅফিসে গেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রদের আরো একটি দল রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সচিবালয়ের সামনে নবাব আবদুল গণি রোডে পিকেটিংয়ে অংশ নেয়। ওইদিন বিকালে প্রতিবাদ সভা আনুষ্ঠিত হলে পুলিশ সভা ভেঙে দেয় এবং কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পর ১২ থেকে ১৫ মার্চ ধর্মঘট পালন করা হয়।

আন্দোলনের তীব্রতার মুখে ১৫ মার্চ খাজা নাজিমুদ্দিন সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে আবুল কাশেম, কামরুদ্দীন আহম্মদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আবদুর রহমান, চৌধুরী প্রমুখ অংশগ্রহণ করেছিলেন। আলোচনা সাপেক্ষে দুইপক্ষের মধ্যে আটটি বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সরকারের এ নমনীয় আচরণের কারণ ছিল ১৯ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিল্লাহর ঢাকা আগমন। তার আসার আগে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য নাজিমুদ্দিন চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিটি তখন পর্যন্ত মেনে নেয়া হয়নি। চুক্তিতে আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তারকৃত বন্দিদের মুক্তি, পুলিশের অত্যাচারের নিরপেক্ষ তদন্ত, বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যমে ও রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া, সংবাদপত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত