ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যানজট-দুর্ঘটনা-নৈরাজ্য

রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণহীন রাইড শেয়ারিং

রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণহীন রাইড শেয়ারিং

রাজধানীতে রাইড শেয়ারিংয়ের নামে মোটরসাইকেল ও কার চালকদের নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলায় সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা আলোচনার অন্যতম বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এমনকি গতির ঝড়ে জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের নজরদারির ঘাটতি, বিআরটিএর প্রযুক্তির ব্যবহারে অদক্ষতার কারনে অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভিস চার্জ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেক অনিয়ম করে থাকে। কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে না যাওয়া এবং বেশি চার্জ আদায় করে যাত্রীদের হয়রানি করার অভিযোগও বিস্তর।

অনেক ক্ষেত্রে এসব রাইডাররা সিগন্যাল তো দূরের কথা ভিআইপি সিগন্যালও মানেন না। আর রাজধানীর অধিকাংশ সড়কের ফুটপাথে মোটরসাইকেল চালানো যেন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। ফুটপাতে মোটরবাইক চলাচল করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে সড়কে এসব দুর্ঘটনায় বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। শুধু জানুয়ারি মাসেই ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সূত্রমতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছেন।

গত শনিবার সংস্থাটির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। এ সময় ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে গণপরিবহন ও যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীতে রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে অধিকাংশই এখন আর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চলে না, চলে খ্যাপে। প্রযুক্তি সেবায় নিয়ন্ত্রণ নেই, ফলে সড়কে আছে নৈরাজ্য। অথচ বিশ্বের বহু দেশে ইন্টারনেটভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু করে ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অথচ এটি এমন একটি পরিবহন ব্যবস্থা, যেখানে গাড়ির মালিক তার নিজের প্রয়োজন মিটিয়েও ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোটরযান ভাড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে মোটরযানের সংখ্যা কমিয়ে আনাই অন্যতম উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকারের। সরকার রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করে, যা ২০১৮ সালে পাস হয়। কিন্তু পরিবহনের সংখ্যা কমার চেয়ে বরং দিন দিন উল্টো পরিবহনের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি সড়কে বেড়েছে নৈরাজ্য, বেড়েছে দুর্ঘটনাও।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, বর্তমান সময়ে অ্যাপভিত্তিক সেবা আর চলে না। চলে চুক্তিভিত্তিক খ্যাপের মাধ্যমে। ফলে কোনটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চলে আর কোনটি ছিনতাইকারী ডাকাত দল বা ব্যক্তিগত কর্মজীবী মানুষের পরিবহন এখন আর বোঝা যায় না।

বিআরটিএর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় বর্তমানে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রাইড শেয়ারিং সেবার কাজে সম্পৃক্ত। কিন্তু এ সেবাকে অতি মুনাফার পেশা হিসেবে নিয়েছে এক শ্রেণির রাইডার। বিআরটিএ থেকে অ্যাপভিত্তিক সেবা দেওয়ার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভূক্ত হয়েছে- তাদের দুর্বলতা, অতি মুনাফা, সেবা প্রদানে অনাগ্রহ, মনিটরিংয়ের অভাবেও আজ এ সেবা মুখ থুবড়ে পড়ার পথে। সরকারও এ খাত থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশে যেসব রাইড শেয়ারিং তালিকাভুক্ত হয়েছে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাইড শেয়ারিং অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উবারের প্রায় এক লাখ চালক রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকায় আরেকটি জনপ্রিয় বাইক রাইডিং পাঠাওয়ের আছে প্রায় দেড় লাখের বেশি রাইডার। এ ছাড়াও রাজধানীতে সহজ ডট কম, স্যাম, ওভাই, ওবোন ইত্যাদির আওতায় আছে আরও প্রায় ৫০ হাজার রেজিস্ট্রার্ড বাইক। রাইডারদের আয়ের প্রধান উৎস বাইক রাইডিং।

পাঠাওতে মোটরবাইকের সুবিধা থাকলেও উবারে মোটরবাইক ও প্রাইভেট কার উভয় সুবিধা থাকার কারণে মানুষের কাছে উবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অথচ বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের বর্তমান অবস্থা এখন বেশ শোচনীয়। রাইড শেয়ারিং সেবার নানামুখী ভোগান্তিতে সে সময়ের স্বস্তি এই সময়ে এসে হয়ে উঠেছে বিরক্তির প্রকাশ হিসেবে। তারপরও কেউ কেউ বাধ্য হয়েই ব্যবহার করছেন এসব রাইড শেয়ারিং অ্যাপ। তবে বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা কন্ট্রাকে যাতায়াত করেন। এর অন্যতম কারণ অবশ্য চালকদের অ্যাপের প্রতি অনাগ্রহ। যার ফলে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতেই কোনো রাইডার পাওয়া যায় না। অথচ রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা যায় অসংখ্য রাইডার।

অপর দিকে ঢাকার অলিগলিতে রাইড শেয়ারের নাম করে ফাঁদ পেতে বসে আছে একাধিক অপহরণকারী চক্র। তাদের টার্গেট অফিসগামী এবং কর্মস্থলে ফেরা মানুষ। পুলিশ এমন একাধিক চক্রকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারও করেছে।

রাইড শেয়ার সেবা নিতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন- বেসরকারি চাকরিজীবী রুস্তম খান। তিনি জানান- ঢাকার বাদশাহ মিয়া রোডে অপেক্ষা করছিলেন অফিসের গাড়ির জন্য। হঠাৎ একটি গাড়ি এসে থামে সামনে। রাইড শেয়ারিংয়ের কথা বলা হয়। অফিসের গাড়ির দেরি দেখে তিনিও উঠেন। কিন্তু গাড়িতে তোলারপর চোখ বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন। পরে অস্ত্রের মুখে আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ।

পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে। পুলিশ। চক্রটি রাইড সেবার নামে অপহরণের পর লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগি রুস্তম জানান, তার কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে অপহরণকারীরা ফোন করে স্ত্রীকে। দাবি করা হয় মুক্তিপণ। স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে স্ত্রী। এরপরও মেলেনি মুক্তি। দ্বিতীয় দফায় চাওয়া হয় আরও টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ জ্যাম, ভাড়া নিয়ে ক্যাচাল, গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়া- এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি পাঠাও তাদের রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করে। ওই একই বছরের ২২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ট্যাক্সি সেবাদানকারী কোম্পানি উবার-ও। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এসব রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। বর্তমানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে ১৪টি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নিবন্ধিত থাকার তথ্য রয়েছে।

এত এত অভিযোগের পরও রাইড এমন নির্লিপ্ত আচরণের কারণ আসলে কী? এ বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা রয়েছে কি না, যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রাখা আছে সরকারি নীতিমালায়। এর মধ্যে রয়েছে : প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের মালিককে বিআরটিএতে তালিকাভুক্ত হতে হবে। রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস এলাকায় অফিস থাকতে হবে। (কিন্তু বাস্তবতা হলো অফিস তো দূরের কথা সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান উবারে যাত্রীদের সরাসরি অভিযোগ জানানোর কোনো সুযোগই নেই।) যাত্রীর অভিযোগ জানানোর সুযোগ রাখতে হবে। অ্যাপে এসওএস সুবিধা রাখতে হবে, যাতে স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে চালক ও যাত্রীর লোকেশন ৯৯৯ নম্বরে চলে যায়। অ্যাপে অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তির সুবিধা থাকতে হবে। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। (কিন্তু কার্যত এ ধরনের কোনো কল সেন্টারই নেই। ফলে যাত্রীরা যেমন গাড়ি পেতেও চালকের মর্জির ওপর নির্ভর করেন আবার গাড়ি বা বাইকে উঠেও অনেকে দুর্ব্যবহারের শিকার হন।)

তবে বিআরটিএ সূত্র জানায় অ্যাপে রাইড শেয়ারিং না করে চুক্তিভিত্তিক যাত্রী পরিবহন করলে সংশ্লিষ্ট চালক ও যাত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাইড শেয়ারিং সেবার নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাড়ার বেশি নিলে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিআরটিএ। কতিপয় মোটরযান চালক নীতিমালার শর্ত পালন করছেন না। শর্ত পালন না করে চুক্তিভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদান ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, যা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালার পরিপন্থি। এক বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু বিআরটিএর নীতিমালা কিংবা এসব বিজ্ঞপ্তি গুরুত্বই পায়নি অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও চালকদের কাছে। ফলে এখন ঢাকার মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত বাইক ও রাইডারদের সারি। যারা চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করে, যা এ-সংক্রান্ত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এদিকে বিভিন্ন সময় রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের তরফ থেকে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গন্তব্য শুনে অনুরোধ বাতিল করে দেয়া। চালকদের পছন্দনীয় গন্তব্য হলেই কেবল যাত্রী পরিবহন করা। বিকাশে বা কার্ডে টাকা নিতে অপারগতা প্রকাশ করা। যাত্রীকে অনুরোধ বাতিল করতে বাধ্য করা, কিন্তু সেই বাতিলের জন্য যাত্রীকেই জরিমানা করা। দরকষাকষি করে যাত্রা করা। অ্যাপে যেতে অপারগতা প্রকাশ করা। নারী যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ। সহজ পথে না গিয়ে গুগল ম্যাপের কথা বলে নানা জায়গায় ঘুরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানো।

এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নামে এক উবার চালক বলেন- অ্যাপে গেলে সার্ভিসদাতা প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ টাকা কেটে নেয়। এতে কস্ট অনুযায়ী লাভ থাকে না। তাই অ্যাপে যাই না। আরেক চালক আজহার উদ্দিন বলেন- জ্যামের কারণে অনেক জায়গায় যাই না। অ্যাপে গেলে লাভ কম। আর বিকাশে টাকা পেমেন্ট করার সুবিধা চালু করায় অনেকে বিকাশে টাকা দেন। কিন্তু বিকাশে টাকা দিলে সে টাকা যে কবে পাব তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই অ্যাপ ব্যবহার করি না।

এদিকে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করা মনির হোসেন বলেন- আমি পড়াশোনা জানি না। অনেক কষ্টে বন্ধুর সাহায্যে অ্যাপ খুলেছি। কিন্তুঅ্যাপের কিছুই বুঝি না। বাইক চালিয়েই সংসার চালাতে হয়। তাই অ্যাপ ব্যবহার না করে চুক্তি ভিত্তিতে যেতে পছন্দ করেন বলে জানান। আরেক বাইকার রতন বলেন- আমাদেরও তো নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। তাই যে এলাকা চিনি না সেখানে যাই না।

বিআরটিএর পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলেই কেবল আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে আমরা যাত্রীদের হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনা, প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়ায় সার্ভিস দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রায়ই মতবিনিময় করে থাকি। তাদের যথাযথ সেবা প্রদান করে এসব সমস্যার সমাধান করতে বলি।

এ বিষয়ে উবারের হট লাইনে ফোন দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইতিমধ্যে তারা গণমাধ্যমকে বলেছিল- যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা এবং ট্রিপ বাতিলের বিষয়টি যাত্রীদের কাছে দেয়া আমাদের যে অঙ্গীকার তাকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং আমরা এসব বিষয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমরা কোথায় যাবেন প্রশ্নের সমাধানে; ড্রাইভার পার্টনার আপনার রাইড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার আগেই দেখতে পাবেন ডেস্টিনেশন আর পেমেন্ট মোড চালু করেছি। তাই আর হতে হবে না নানাবিধ প্রশ্নের সম্মুখীন। আমরা অ্যাপের বাইরে (চুক্তিভিত্তিক) যাত্রী পরিবহনকে নিরুৎসাহিত করি। কারণ, এতে চালক ও যাত্রীর জবাবদিহি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকে না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত