সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুসারে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারেন কি না, সে বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদেশের দিন নির্ধারণ করেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদালত জানান, দ্বৈত নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায় কি না; সংবিধান ও আইন দেখে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারে কি না, সে বিষয়েও আদেশ দেয়া হবে।
শুনানিকালে আদালত বলেন, যারা দ্বৈত নাগরিক তাদের দেশপ্রেম দুই ভাগে বিভক্ত। তারা টাকাটা নিয়ে ও দেশে চলে যাচ্ছে। কাজেই এসব ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যাখ্যাও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান হাইকোর্ট।
এর আগে একটি দৈনিকের ‘বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আদালতের নজরে আনা হয়। প্রতিবেদনটির একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগে আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো। এরই মধ্যে দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সারা বিশ্বে রয়েছেন এক নম্বরে। আবার লন্ডনের অভিজাত স্থানে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশিরা।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব সম্পদ কিনতে যেসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা বৈধ বা অবৈধ যে উপায়েই আয় করা হোক, দেশের বাইরে নেয়া হয়েছে অবৈধ উপায়ে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তরে কোনো ক্ষেত্রেই অনুমোদন নেয়া হয়নি।