ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরি

দুই দেশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় সিআইডি

দুই দেশের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় সিআইডি

বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট জমা দেয়া হয়নি এখনও। কবে তা জমা দেয়া হতে পারে, এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই দেশের তদন্ত রিপোর্ট এখনও পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। এজন্য মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অপেক্ষা করছে তারা। ওই দুই দেশের মতামত আসলেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

গতকাল দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষ বের হওয়ার সময় তিনি এই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মামলাটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। এজন্য আমরা জোর গলায় বলতে পারব না যে, কে কত টাকা নিয়েছে, কী করেছে। এটা তদন্তের পরই জানতে পারব।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে টাকা পাচার করে সম্পদ গড়েছেন বলে গত কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার টাকা ফেরত আনা কিংবা তাদের শনাক্ত করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া কিন্তু চালু রয়েছে, এটা বন্ধ নেই। যারাই অবৈধভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে, আমরা তাদের শনাক্ত করছি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মানি লন্ডারিং আইনে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির অভিযোগ এনে ওই বছরের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। শুরু থেকেই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত সিআইডি আজও শেষ করতে পারেনি।

কর্মসূচির নামে রাস্তায় বসলে ব্যবস্থা : আন্দোলনের নামে কেউ যদি রাস্তায় বসে পড়ে তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। তারা নির্বাচনের আগে অনেক কথাই বলবে, এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি অন্য দলও আছে তারাও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারে। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

গতকাল সিআইডির ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন’ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেন। রাস্তা ঘাট বন্ধ না করেন। নগরবাসীর চলাচল বিঘ্নিত না করেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ বিরক্ত হয়, এমন কোনো কাজ যেন তারা না করেন। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবেন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আবার যদি আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করেন, অগ্নিসংযোগ করেন কিংবা বসে থেকে রাস্তাঘাট বন্ধ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার তাই করবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত