ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দলীয় যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের

বিএনপির সঙ্গে সংঘাত নয়, প্রতিযোগিতা চাই

বিএনপির সঙ্গে সংঘাত নয়, প্রতিযোগিতা চাই

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আমরা সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে ঘরে জিম্মি করে রেখেছে। যারা ঘরে গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রাখে, তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে? আমরা বিএনপির সঙ্গে শুরু থেকেই কম্পিটিশন চেয়েছি, কনফ্রন্টেশন চাইনি। তাই, নির্বাচন ছাড়া কোনো ভাবেই সরকার পরিবর্তন করা যাবে না।’

ওবায়দুল কাদের গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিএনপিকে প্রথম থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি। তাদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক চেয়েছি। তাদের জন্ম থেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, একুশে আগস্টের ঘটনা, ২০০১ সাল, সব কিছুতেই তারা আমাদেরকে বরাবরই মনে করে আসছে শত্রুপক্ষ। শত্রুপক্ষ হিসেবে তারা আমাদের সঙ্গে শত্রুতাই করে গেছে। এই শত্রুতার অপরিহার্য সঙ্গ ষড়যন্ত্র।

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এক বছর ধরে প্রকাশ্যে মাঠে আসছে, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে, তারা অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায় শান্তি সমাবেশ করছি। যতক্ষণ বিএনপি আন্দোলন করবে আমরা শান্তি সমাবেশ করব। তারা নয়াপল্টনে করে আমরা উত্তরা, ১০ ডিসেম্বর তারা রাজধানীতে করেছে আমরা সাভারে করেছি। আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন আসলেই দেখা যায় নানা ধরনের গুজবের ডালপালা বিস্তার করে, আজকে (গতকাল) আমরা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনের দিকে অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমাদের দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তিনি বলেন, আমরা কোনো কর্মসূচি দিলেই কিছু সংবাদ মাধ্যম বিএনপির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি তোলে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলছে পাল্টাপাল্টি, আমরা তো পাল্টাপাল্টি সভা, সমাবেশ করছি না। তারা করছে আন্দোলনের পদযাত্রা, আন্দোলনের সমাবেশ। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে শান্তির সমাবেশ। বিএনপির সাথে আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা আছে, তা সুখকর নয়। ২০১৩-১৪ সালে রাজনীতিতে তারা কত নিকৃষ্টতম নোংরা ভূমিকা পালন করেছে, সেটার প্রমাণ দেশের মানুষ পেয়েছে। নতুন করে দেয়ার কিছু নাই। আমাদের স্মৃতিটা এখনো জাগে, দেশের জনগণ এতো তাড়াতাড়ি সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলবে না।

যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সানজিদা খানম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত