ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্ত্রাসের শঙ্কায় আজ ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে আ.লীগ

সন্ত্রাসের শঙ্কায় আজ ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে আ.লীগ

সরকার পতনের ১০ দফাসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সন্ত্রাসের শঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি নামে বিএনপি নৈরাজ্যরোধে দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ক্ষমতাসীনরা। বিএনপি পদযাত্রার নামে কোনোরূপ সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, আজকে ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রাজধানীর ওয়ার্ডে-ওয়াডে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বাকি ৭৬টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪০টিতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থেকে শান্তি সমাবেশ সফল করবেন। এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।

বিএনপির পদযাত্রা আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশ’ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি হিসেবে মানতে নারাজ দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সন্ত্রাসের আশঙ্কায় শান্তি সমাবেশ করছি। বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে না। আমরা প্রতিযোগিতা চেয়েছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়। বিএনপি যতক্ষণ আন্দোলন করবে, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আওয়ামী লীগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি মানেই সন্ত্রাস, তাদের কর্মসূচি মানেই জ্বালাও-পোড়াও, জনমনে আতঙ্ক। তাই জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় আগামী নির্বাচন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে রাজনীতির মাঠে সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষের কাছে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দেশের মানুষ কী অবস্থায় ছিল সেগুলো তুলে ধরবো। দলকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে, সেই আহ্বান জনগণকে করবো। কেন্দ্রীয় নেতারা যেসব জেলায় শান্তির সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন, তারা হলেন- লালমনিরহাটে অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, রংপুরে এইচএন আশিকুর রহমান এমপি, সুজিত রায় নন্দী ও অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জয়পুরহাটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়ায় ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁয় সাখাওয়াত হোসেন শফিক, রাজশাহী জেলায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও বেগম আখতার জাহান। সিরাজগঞ্জে প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি, পাবনায় নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঝিনাইদহে পারভীন জামান কল্পনা, যশোরে বি এম মোজাম্মেল হক, মাগুরায় নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, নড়াইলে মাশরাফি বিন মোর্তুজা এমপি, বাগেরহাট অ্যাড. মো. আমিরুল ইসলাম মিলন এমপি, খুলনা জেলায় এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, বরগুনায় সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালীতে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বরিশাল জেলায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও আনিসুর রহমান, পিরোজপুরে মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, টাঙ্গাইলে ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও বেগম শামসুন নাহার, মানিকগঞ্জে অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, মুন্সিগঞ্জে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, গাজীপুরে সিমিন হোসেন রিমি এমপি, নরসিংদীতে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, রাজবাড়ীতে দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুরে আব্দুর রহমান, গোপালগঞ্জে লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান ও সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, মাদারীপুরে শাহজাহান খান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আনোয়ার হোসেন ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, শরীয়তপুরে ইকবাল হোসেন অপু, জামালপুরে মির্জা আজম, শেরপুরে মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনোয় অসীম কুমার উকিল ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কুমিল্লা উত্তরে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুম সবুর, চাঁদপুরে ডা. দীপু মনি ও ড. সেলিম মাহমুদ, লক্ষ্মীপুরে ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজারে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রাঙ্গামাটিতে দীপঙ্কর তালুকদার ও বান্দরবানে ওয়াসিকা আয়শা খান প্রমুখ। যেসব জেলায় কেন্দ্রীয় নেতারা যাবেন না সেখানে জেলার নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত