ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ আজ

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাতীয় সমাবেশ আজ

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪৩তম জাতীয় সমাবেশ আজ। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সেবার মহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের অগ্রগতি ও জননিরাপত্তায় আত্মনিয়োগ করার জন্য আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বাহিনীর সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা ও জনসম্পৃক্ত বাহিনী। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব প্রয়োজনে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মত্যাগকারী বীর আনসার সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আবদুল হামিদ জানান, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা এবং প্রকল্পগুলোতে নিরাপত্তা বিধানে এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা আত্মনিবেদিত ও সদা তৎপর। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণের শুরুতেই মৃত্যুঝুঁকি উপেক্ষা করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ, শ্রমিক সংকটকালে কৃষকের ফসল ঘরে তোলা, ত্রাণ বিতরণ এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের সহায়তাকরণসহ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোগিতা ও কোভিড-১৯ বিশেষায়িত হাসপাতালে দায়িত্ব পালনে এ বাহিনীর সদস্যদের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে আনসার সদস্যরা নিজেদের অস্ত্রাগারে রক্ষিত ৪০ হাজার থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগরের আম্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এ বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত। তিনি ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৬৭০ জন বীর আনসারসহ সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত