রাষ্ট্রপতি পদ

সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়নে পাবনায় মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কাজী বাবলা, পাবনা

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ার খবরে পাবনায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জেলার সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাবনার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের হয়। আনন্দ মিছিলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শরীক হন। পরে আনন্দ উল্লাসে পথচারীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ও মিষ্টি খাওয়ানো হয়। এ সময় শহরের প্রধান সড়কে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। পাবনার প্রবীণ শিক্ষক ও মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের বাল্যবন্ধু প্রফেসার শিবজিদ নাগ বলেন, সাহাবুদ্দিনের এই প্রাপ্তি আমার জীবনের সেরা আনন্দ। এর চাইতে খুশি কোনো দিন হইনি। ওর এই অর্জনে বন্ধু হিসেবে ও পাবনাবাসী হিসেবে আমি গর্বিত।

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আরেক বাল্যবন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম বাবলু বলেন, একজন গুণী ও যোগ্য মানুষকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়ায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, খবরটি জানার পর চোখে পানি এসে গেছে। এই প্রাপ্তি পুরো জেলাবাসীর প্রাপ্তি। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আবদুর রহিম বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় যোগ্য ব্যক্তিকেই যোগ্য আসনে দেন। এটা তার প্রমাণ। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহম্মদ রেজাউল রহিম লাল বলেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনার গর্ব, আমাদের অহংকার। তিনি একজন গুণী মানুষ। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা মনে করি, একজন যোগ্য মানুষকে তার যোগ্য মর্যাদা দেয়া হচ্ছে। পাবনায় মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও পাবনা জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তিনি অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে তিনি উক্ত ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।