ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোস্ট গার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

কোস্ট গার্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডেও মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ব্যক্তি, সামরিক-অসামরিক অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নবনির্মিত স্টেশন লক্ষ্মীপুরের দুটি ভবন (ভার্চুয়ালি) উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করেন এবং মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করেন।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী ভাবনার ফলেই আমাদের নিজস্ব সমুদ্র এলাকা দাবি সম্বলিত ‘ঞযব ঞবৎৎরঃড়ৎরধষ ডধঃবৎং ধহফ গধৎরঃরসব তড়হবং অপঃ, ১৯৭৪’ প্রণীত হয়। পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন।

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে দুটি জাহাজ ও দুটি বোট এবং প্রেষণে আসা ২২০ জন নৌ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পথ চলা শুরু করে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এই বাহিনীতে নতুন নতুন প্লাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়। ফলে, বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয় এবং নানা সাফল্য আসে। কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়।

আগামী দিনগুলোয় দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণে সততা, পেশাদারিত্ব এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে বদ্ধ পরিকর কোস্ট গার্ড। সর্বপরি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলস কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত