নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট কর্মী দরকার

প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকা মানে স্মার্ট থাকা, শৃঙ্খলা মেনে চলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট কর্মী দরকার।

গতকাল দুপুরে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তাদের আক্রমণ করতে চাই না। কিন্তু সিরাজগঞ্জের পাইকপাড়ায় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে যারা ১৮টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল- তারা কারা? তাদের বলতে চাই, যে হাত অস্ত্র নিয়ে আসবে সেই হাত ভেঙে দেব, যে হাত আগুন নিয়ে আসবে, সে হাত পুড়িয়ে দেব, যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে, সেই হাত গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আমরা আক্রমণ করব না কিন্তু আক্রান্ত হলে ছাড় দেব না। ফাইনাল খেলা হবে আগামী ডিসেম্বরে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আজ তলিয়ে গেছে, অর্থনীতিতে ডুবে গেছে। মির্জা ফখরুল এখনো পাকিস্তানের জয়গান গায়। বাংলাদেশ ফখরুলের পছন্দ নয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়। সেজন্য মিটিং করতে গেছে গোলাপবাগের গরুর হাটে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে না। কারণ, সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে পেয়ারা পাকিস্তান। সেখানে ৭ মার্চের ভাষণ হয়েছে। ফখরুলের পেয়ারা দোস্ত পাকিস্তান। এরা পাকিস্তানের কথা বলে সকালে ঘুম থেকে ওঠে। পাকিস্তানের জয়গান গেয়ে রাতে ঘুমায়। বাংলাদেশে এখনো ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ মজুত রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে এক সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই। তারপরও মির্জা ফখরুল বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।

নারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যদি আবারো ক্ষমতায় আসে, বোরকা পরিয়ে ঘরে রাখবে। তারা যদি আবারো আসে বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না মেয়েরা। তারা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না। আজকে পুলিশের এসপি, ডিসি মেয়ে। আজকে সচিব নারী, হাইকোর্টের বিচারপতি নারী, আর্মির মেজর নারী। কে করেছেন? শেখ হাসিনা করেছেন।

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল। পরে, তিনি কবিরহাট উপজেলা চত্বরে ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এদিন দুপুর ১২টায় তিনি জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন ও মোশাররফ-ফজিলাতুন্নেছা বৃত্তি প্রদান। ওবায়দুল কাদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বলেন, এখানে একটা দল আছে- বাংলাদেশের সব জায়গায় আছে। তারা আওয়ামী লীগকে ভয় পায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় তাদের মধ্যে কাজ করে। সে কারণে তারা পথ হারিয়ে পদযাত্রা করে বেড়াচ্ছে। আন্দোলনে জনগণ না থাকলে সেটা আন্দোলন নয়। আন্দোলনে মানুষ থাকতে হবে। তাদের আন্দোলনে নেতাকর্মীরা আছে। তারা সাধারণ জনগণকে নামাতে পারেনি। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জন সারা দুনিয়ায় সমাদৃত। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা কর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেয় তারা ভালো মানুষ না। নেতা হয়ে গরিবের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিলে ওই টাকা তার পরিশোধ করতে ১০ বছর লেগে যাবে। এই কথাটা ভেবে দেখবেন সবাই। আমার ও সরকারের দুর্নাম হয় এমন কাজ করবেন না। মানুষের মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝতে হবে। বুঝতে না পারলে ভুল করবেন। নির্বাচনে তার প্রমাণ পাবেন।

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল প্রমুখ।