ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন

তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে স্মারণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্কের পূর্বাচলে গাজীন্তেপ প্রদেশে আঘাত হানে। আকস্মিক এ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি, স্থাপনা ধ্বংস এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধারকার্যে সহায়তার জন্য তুরস্ক সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের নিকট অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গাজীন্তেপ প্রদেশে উদ্ধারকার্য ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৪৬ সদস্যের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল তুরস্কে গমন করেন। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বৈরি পরিস্থিতিতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ভূমিকম্পে তুরস্কের আদিয়ামান শহরে এ পর্যন্ত ভেঙে পড়া ভবনের ভেতর থেকে একজনকে জীবিত এবং ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধারসহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ছয়টি বিল্ডিং অপসারণ করেছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল। এছাড়া বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলটি এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ১২০ কার্টন খাবার এবং ৭২টি তাঁবু বিতরণ করে। ভূমিকম্প দুর্গত স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি স্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টার এবং উদ্ধার অভিযান স্থানে ফার্স্ট এইড টিম হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। স্থায়ী মেডিক্যাল সেন্টারটি মূলত ভূমিকম্পের ফলে আঘাতপ্রাপ্ত ও মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। বর্ণিত মেডিক্যাল টিমটি এপর্যন্ত ১০৪ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও তাদের মধ্যে ৩২ কার্টন ওষুধ বিতরণ করে। উদ্ধারকারীরা প্রাণের সন্ধানে এখনও কঠোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে; সেটি হোক জীবিত অথবা মৃত। বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ স্থানীয় জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত