ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চেতনায় একুশ

ঢামেকের সামনের ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ গুঁড়িয়ে দেয়

ঢামেকের সামনের ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ গুঁড়িয়ে দেয়

১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে স্থাপিত ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ গুঁড়িয়ে দেয়। সরকারের দমন-পীড়ন নীতিতে ঢাকায় ছাত্র আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে, কিন্তু ঢাকার বাইরে আন্দোলন দানা বাঁধে। এবার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের পদত্যাগের দাবি ওঠে ভাসানীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে।

৮ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনাকে পাকিস্তানের মুসলিম কালচার থেকে বিচ্যুত করার লক্ষ্যে হিন্দু এবং কমিউনিস্টদের একটি চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করে। ১৪ এপ্রিল আইন পরিষদে পূর্ব বাংলার সদস্যরা ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করেন এবং ২২ ফেব্রুয়ারি গৃহীত প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করার ব্যাপারে দাবি উত্থাপন করলে আইন পরিষদে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। ১৬ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফের খুলে দেয়া হয়। ২৮ এপ্রিল সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে বার অ্যাসোসিয়েশন হলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বক্তারা মিছিল সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সব বন্দির মুক্তি এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান।

১৯৫২ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ১ বছর পূর্তিতে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হাজার হাজার জনতা অস্থায়ীভাবে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। সরকার সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করলেও মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা খালি পায়ে স্মৃতিস্তম্ভের কাছে সমবেত হন। এ দিন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ শোকের প্রতীক হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করেন এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত