ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার সফর

সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ কাজে লাগাল ঢাকা

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ফারুক আলম

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দাভাব চলছে। জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও পোশাক খাত থেকে শুরু করে প্রতিটি খাতে দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। তবে চলমান এই মন্দাভাবের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। সেজন্য এখন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র পর দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেট। একই দিনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোত্রাও ঢাকা সফরে এসেছিলেন। দুজনই গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর আগে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও পোশাক খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোত্রা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিনয় মোহন কোত্রা। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় উঠে আসে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ সব ধরনের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’ চলতি বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান কোত্রা। প্রধানমন্ত্রী এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান। উভয়পক্ষই দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

গত বুধবার বিনয় মোহন কোত্রার সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকে দুই পক্ষই রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, সংযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা হয়।

জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।’ এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য গত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন থাকলেও বর্তমানে সেটি কেটে উঠেছে। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে আসেন। তার ৩১ ঘণ্টার সফরে সরকার, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় কোনো উত্তাপ নয়, সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছাড়েন বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই কূটনীতিক।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু বলেছেন, যখন বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়বিচারের সংগ্রাম করে চলেছে, ঠিক তখন দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সফরে আসেন।

২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এলিট ফোর্স র‍্যাবের সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ব্রিফিংয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) নিয়েও প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ডোনাল্ড লু বলেন, ‘র‍্যাব বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনার বিষয়ে আমরাও স্বীকৃতি দিচ্ছি। এটা অভূতপূর্ব কাজ। এটা প্রমাণ করে, মানবাধিকারকে সম্মান করাসহ র‍্যাব তার গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টারিজম ও আইনগত কার্যকারিতা এগিয়ে নিতে সক্ষমতা রাখে।’

ডোনাল্ড লু সফরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানাবিধ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে বিবৃতিতে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও স্টাফ অফিসার উইলিয়াম শিবার এসব বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সচিব (মেরিটাইম বিষয়ক) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ ইমরান, সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ চৌধুরী, মহাপরিচালকরা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ডোনাল্ড লু বলেন, ‘মনোমুগ্ধকর ও অতিথিপরায়ণ বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি এখানে এসেছি আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে। অনেক আন্তরিক ও মুক্ত আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি রয়েছে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে। আমরা কথা বলব, যখন সমস্যা দেখব। আমরা পরামর্শ দেব। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমরা দাঁড়াব। বাংলাদেশে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য আমরা তাকিয়ে আছি।’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডোনাল্ড লু।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বার্তাটি হচ্ছে উনি (ডোনাল্ড লু) এসেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করার জন্য, আরো শক্তিশালী করার জন্য। তাদের একটা তহবিল আছে ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) ফান্ড, ওইটা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে না। কীভাবে বাংলাদেশ এ ৪ বিলিয়ন ডলার গ্রহণ করতে পারে, সেটার সুযোগ সৃষ্টি করা। সেজন্য আমাদের এদিকে কিছু কাজ করার দরকার পড়বে। সেই কাজগুলো আমরা যত তাড়াতাড়ি করে এ সুযোগটা যাতে নিতে পারি। মোস্টলি লেবার, শ্রম ছাড়া অন্য কোথাও কিছু না।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহায়তা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, শ্রম, গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে মানবিক সহায়তা, তাদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় ডোনাল্ড লু রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে র‍্যাবের কার্যক্রমের ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়ে সাধুবাদ জানান।

সর্বশেষ ঢাকা সফরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে। তার এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোরেক শোলের সফরে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমন্বয় ও প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতা জোরদার নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। গত বুধবার ঢাকা ত্যাগ করেন শোলে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন ছিল তা কেটে উঠেছে। ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত এলিট ফোর্স র‍্যাবের সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর মিলনায়তনে এক সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আশা ব্যক্ত করেন, দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। সত্যিকারের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিফলন ঘটবে, ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সাংবাদিকরা যাতে হয়রানি এবং সহিংসতার শিকার না হয় সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে। এসবের মধ্যেও চলতি বছরে সরকার বিদেশি কূটনৈতিক পর্যায়ে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। যার ফলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারও ইতিবাচক প্রভাব দেখিয়েছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচকভাবে অনেক ভালো সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশে কয়েকজন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার সফরের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা খুবই খুশি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক যোগাযোগ বাড়ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো অভিন্ন মূল্যবোধ ও আদর্শে বিশ্বাসী বিধায় ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বরাজ রাখছে এবং দেশ দুটি শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জলবায়ু ইস্যু ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রগুলোতে একসাথে কাজ করছে।

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের চিত্র বাংলাদেশ সফররত ডেরেক শোলের কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে তারা খুবই শকড, এত মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর শোলে। পরে বিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বরং বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা সফরে আসছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আশা প্রকাশ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশে ১০০টি নতুন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। সেখানে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বিনিয়োগ করলে খুশি হব।’

রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশকে সাহায্য করে যাচ্ছে। তারা একমাত্র দেশ, যারা এই সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। এ সংকটে তারা সবচেয়ে বড় দাতা দেশ এবং বাংলাদেশের পাশে আছে।’ তাদের এই সফরের মধ্য দিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।