কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতকারীদের পৃথক হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতাসহ দুইজন আহত হয়েছেন। উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লক এবং ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নুর কায়েস উখিয়ার বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা মো. নজুমউদ্দিনের স্ত্রী। আহত মো. আব্দুর রহিম (৩৮) উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের বাসিন্দা এবং আরাফাত হোসেন বালুখালী ৮-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা। এদের মধ্যে মো. আব্দুর রহিম ময়নারঘোনা ১২ ক্যাম্পের প্রধান কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি)। স্থানীয়দের বরাতে শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌণে ১০টায় নূর কায়েস নিজের বসতঘরে অবস্থান করছিলেন। এতে আকস্মিক একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে দুইজন আহত হন। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর কায়েসকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আরাফাত হোসেন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুখোশ পরিহিত একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মো. আব্দুর রহিম নামের রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা আহত হয়েছে বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী। ওসি বলেন, গতকাল সকালে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে নিজের বসতঘরের অদূরে অবস্থান করছিলেন মো. আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা। এক পর্যায়ে ৪/৫ জনের মুখোশ পরিহিত দুষ্কৃতকারী তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী।
