ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চেতনায় একুশ

২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতালের সিদ্ধান্ত হয়

২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী হরতালের সিদ্ধান্ত হয়

ভাষা আন্দোলনের পুনর্জাগরণে ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিনের ভাষণ প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৫ জানুয়ারি ঢাকা আসেন এবং ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে জনসভায় দীর্ঘ ভাষণ দেন। তিনি মূলত পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ১৯৪৮ সালের মার্চে ঢাকা সফরে এসে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তারই পুনরাবৃত্তি করেন।

খাজা নাজিমুদ্দিন বলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত তার ভাষণে তিনি আরো উল্লেখ করেন, কোনো জাতি দুটি রাষ্ট্রভাষা নিয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারেনি। ইতিহাসবিদরা বলেন, নাজিমুদ্দিনের ভাষণের প্রতিবাদে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ২৯ জানুয়ারি প্রতিবাদ সভা এবং ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালন করে। সেদিন ছাত্র ও নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সমবেত হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি প্রদেশব্যাপী হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত সভায় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ’ গঠিত হয়। সভায় আরবিলিপিতে বাংলা লেখার সরকারি প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করা হয় এবং ৩০ জানুয়ারি সভায় গৃহীত ধর্মঘটে সমর্থন দেয়া হয়। পরিষদ ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল, সমাবেশ ও মিছিলের বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ পূর্ববাংলার (বর্তমানে বাংলাদেশ) সর্বত্র ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে এদিন যশোর, রাজশাহী, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ অনেক স্থানে ছাত্রছাত্রীরা মিছিল ও ধর্মঘট সফল করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত