প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
অস্ত্র চোরাচালান, ভুয়া লাইসেন্স তৈরির মাধ্যমে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় এবং স্বনামধন্য বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া চক্রের মূলহোতা পলাশসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। এ সময় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ভুয়া লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে এসব চোরাচালান করত গ্রেপ্তারকৃতরা। র্যাব সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল চক্রের মূলহোতা মো. পলাশ শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, রশিদুল ইসলাম, নাজীম মোল্লা, মারুফ হোসেন এবং মো. নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটার গান, ৭টি একনালা বন্দুক, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ওয়ান শুটারের গুলি ২ রাউন্ড, একনলা বন্দুকের গুলি ৬৭ রাউন্ড, ০.২২ বোর রাইফেলের গুলি ৪০ রাউন্ড, ১১টি জাল লাইসেন্স, ১৯টি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামীয় সিল ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচা এবং জাল লাইসেন্স তৈরি করে আসছিল। এবং চক্রটির মূল কাজ ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ এবং ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে বিভিন্ন বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার প্রলোভনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে অবৈধ অস্ত্র বিক্রয় করা।
চক্রটি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে রিভলবার, পিস্তল ও একনলা বন্দুকসহ বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র অবৈধ পথে দেশে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আগ্রহী চাকরি প্রার্থীদের কাছে জাল লাইসেন্সসহ অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করে এবং চাকরি দিয়ে থাকে। চাকরি প্রদানের জন্য জনপ্রতি ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। অবৈধ অস্ত্র ও ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিকিরিউটি গার্ড হিসাবে চাকরি করত। এছাড়া, চক্রটি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে চড়া দামে জাল লাইসেন্স তৈরি করে অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল।
