ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী সন্তান প্রসবের সময় মারা যান

ডব্লিউএইচওয়ের প্রতিবেদন
প্রতি ২ মিনিটে একজন নারী সন্তান প্রসবের সময় মারা যান

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি দুই মিনিটে একজন নারী গর্ভাবস্থায় বা সন্তান প্রসবের সময় মারা যান। ‘ট্রেন্ডস ইন ম্যাটারনাল মর্টালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীদের স্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক বিপর্যয়ের কথা বলা হয়েছে। কারণ বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই মাতৃমৃত্যুর হার বেড়েছে। গতকাল এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘যারা উচ্চমানের, সম্মানজনক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত, বিশ্বের এমন লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি বিপজ্জনক অভিজ্ঞতা। এই নতুন পরিসংখ্যানগুলো প্রকাশ করে যে প্রতিটি নারী ও মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে, সময় ও পরে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ পায় এবং তারা তাদের প্রজনন অধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে।’

২০০০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর ওপর নজর রাখা এই প্রতিবেদনে দেখা গেছে আনুমানিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫-১৭ শতাংশ। ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২ লাখ ৮৭ হাজার মাতৃমৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) কার্যকর হওয়ার সময় ২০১৬ সালে এটি ৩ লাখ ৯ হাজার থেকে সামান্য হ্রাস পেয়েছে।

জাতিসংঘের আটটি অঞ্চলের মধ্যে দুটি-ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান-মাতৃমৃত্যুর হার ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যথাক্রমে ১৭ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যত্র এই হার স্থবির ছিল। তবে অগ্রগতি সম্ভব বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘লাখ লাখ পরিবারের জন্য মাতৃমৃত্যু একটি মর্মান্তিক ঘটনা। একটি শিশুকে পৃথিবীতে আনার সময় কোনও মাকে তার জীবন সম্পর্কে ভয় পেতে হবে না, বিশেষত যখন সাধারণ জটিলতাগুলোর চিকিৎসার জন্য জ্ঞান এবং সরঞ্জাম বিদ্যমান। স্বাস্থ্যসেবায় সমতায় প্রতিটি মায়ের একটি নিরাপদ প্রসব এবং স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের ন্যায্য সুযোগ প্রাপ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে হবে। অন্যথায় ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখেরও বেশি নারীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত