পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির র্যাঙ্কিং সদস্য গ্রেগরী মীক্স’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) তৌফিক ইসলাম শাতিলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়।
বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসম্যানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ব দরবারে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। তিনি বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে তা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করার বিষয়ে কংগ্রেসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কংগ্রেসম্যান মীক্স বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করে দু’দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
কংগ্রেসম্যান মীক্স জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয়গ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কংগ্রেসম্যানের সমর্থন কামনা করেন।