শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র্যাগিং ও যৌন হয়রানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠন করতে হবে এবং যেখানে গঠিত হয়েছে সেখানে সেটি পর্যাপ্ত মাত্রায় সক্রিয় নয়।
সেখানে যেন কমিটির গঠন করা হয়, সমস্যাগুলো অ্যাড্রেস করা হয় এবং সে অনুযায়ী যেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এই সমাবেশ থেকে আমরা সেই আহ্বান জানাই।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রলীগের আয়োজনে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট র্যাগিং সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, র্যাগিংয়ের যে ইতিহাস সেটি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় নয় শুধু, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চিত ছিল। এই সমস্যাগুলো নিরসন করেই উচ্চ শিক্ষার ধারণা কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্ব দেয়ার ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গবেষণা করে বিশ্বকে জ্ঞানভিত্তিক সমাজে প্রতিষ্ঠা করে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুনামের সঙ্গে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদেরও র্যাগিংয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছে।
প্রশাসনিক সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব উল্লেখ করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বৈশ্বিক শিক্ষার আলোকে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন একটি রূপ প্রকল্প গ্রহণ করে। পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং র্যাগিং যৌন হয়রানির ঘটনাকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে নিয়ে আসতে পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান থাকবে শুধু ব্যবস্থা গ্রহণ করাই পর্যাপ্ত নয়; এ সমস্যাটি স্বীকার করতে হবে এবং একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। সেই গাইডলাইন বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে। শুধু ঘটনা ঘটবে এরপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব এমনটি করলে র্যাগিং এবং যৌন হয়রানি নিরসন করা সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ মনে করে।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।