বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আইএসপিআর

কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলায় নবনির্মিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার তিনি নবনির্মিত এই সেনানিবাসের প্রধান ফলক উন্মোচনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের চারটি ইউনিট (পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ার, এসএসডি ও সিএমএইচ) এবং এসএসডি জাজিরার পতাকা উত্তোলন প্যারেড পরিদর্শন এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এ সময় সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক নবনির্মিত ইউনিটসমূহের পতাকা উত্তোলন করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মিঠামইন এলাকার কৃতী সন্তান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সুখে-দুঃখে সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন এবং দেশের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৩ সালে তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’এ ভূষিত হন। স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা, এই এলাকার সাধারণ মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং নিঃস্বার্থ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নবনির্মিত এই সেনানিবাসটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার মিঠামইন এলাকায় একটি সেনানিবাস স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যা হাওর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মিঠামইন এলাকাটি বন্যা প্রবণ এলাকা হওয়ায় যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অসামরিক প্রশাসনকে ত্বরিত সহায়তার মাধ্যমে যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, অদূর ভবিষ্যতে এ সেনানিবাসে স্কুল ও কলেজ স্থাপনের মাধ্যমে মিঠামইন এলাকার শিক্ষার হার ও গুণগতমানকে সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আজ একাগ্রতা, কর্মদক্ষতা এবং নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের জনগণের মনে স্থান করে নিয়েছে। যে কোনো দুর্যোগ, আর্তমানবতার সেবা ও জানমাল রক্ষায় সেনাবাহিনীর কর্তব্য ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সব সময় প্রশংসিত হয়ে আসছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ একটি ‘ব্র্যান্ড নেইম’ যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের প্রত্যেক সদস্যের পেশাগত দক্ষতা ও কর্মচাঞ্চল্যে এই সেনানিবাস অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অত্যাধুনিক সেনানিবাস হিসেবে পরিগণিত হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত সেনানিবাসের প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া তাকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা, রাষ্ট্রপতির পরিবারবর্গ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যরা ও মিডিয়া ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।