ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসি আহসান হাবিব খান

নির্বাচনে নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিতে তৎপর ইসি

নির্বাচনে নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিতে তৎপর ইসি

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভয়ভীতিহীন নির্বাচন ও ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ তৎপর। নিজেদের মেয়াদের প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গতকাল লিখিত বক্তব্য এমন তৎপরতার কথা জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; এর সিহংভাগই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ তো আসেনি এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেয়া প্রসারিত করেছে।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ওই কমিশনার বলেন, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনি এজেন্ট, গণমাধ্যম কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটির বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর। সারা বছরই ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও সারা বছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের এনআইডি সেবাও সহজীকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, ইসির মতো হচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যে কোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি পরাজয় মেনে নেয়া প্রবণতা থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু ভালো নির্বাচন করব; কিন্তু যিনি বা যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার। ভোট নিয়ে কল্পনাপ্রসূত কোনো শঙ্কার বশবর্তী হয়ে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতিও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে মন্তব্যও করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত