পটিয়া থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তথাকথিত হিজরতের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া চার জঙ্গিকে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠাকালীন ম্যান্ডেটের আলোকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৩ হাজার এবং হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তী সময়ে প্রায় ২ হাজার জঙ্গিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। যখনই জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়েছে তখনই র‍্যাব ফোর্সের সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। জঙ্গিবাদবিরোধী জনমত গড়তে এবং জনসম্পৃক্ততা অর্জনেও র‍্যাব ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখে কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে আটজন তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। উক্ত নিখোঁজের ঘটনায় নিখোঁজ তরুণদের পরিবার কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। গণমাধ্যমসমূহে বহুলভাবে আলোচিত নিখোঁজের এ ঘটনা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব ফোর্সেস নিখোঁজদের উদ্ধারে নজরদারি বৃদ্ধি করে। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র‍্যাব ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায় এবং র‍্যাব জানতে পারে যে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। পরবর্তীতে পার্বত্য এলাকায় গত ০৩ অক্টোবর ২০২২ তারিখ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করে র‍্যাব। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি থেকে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের ০৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫ সদস্যকে, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা ওই সংগঠনের শূরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ বাশারকে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ বান্দরবানের থানচির রেমাক্রী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, গোলাবারুদ ও নগদ ৭ লক্ষাধিক টাকাসহ জঙ্গি সংগঠনের ১৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। বিভিন্ন সময়ে র‍্যাবের পরিচালিত অভিযানে এরইমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সর্বমোট ৫৫ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর ১৭ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, এই সংগঠনের আমীর আনিসুর রহমান মাহমুদ, দাওয়াতি কার্যক্রমের প্রধান মাইমুন, সংগঠনের উপদেষ্টা শামীম মাহফুজ, অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান রাকিব এবং ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনতাছির, দাওয়াতি ও অন্যতম অর্থসরবরাহকারী হাবিবুল্লাহ, সামরিক শাখার প্রধান রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ বাশার। সংগঠনের আমীর আনিসুর রহমান মাহমুদের সঙ্গে কেএনএফ’র প্রধান নাথাম বমের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে নাথাম বমের সঙ্গে তাদের অর্থের বিনিময়ে চুক্তি হয়, এরপর পাহাড়ে আশ্রয়, অস্ত্র ও রশদ সরবরাহ এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করত। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত অভিযানের ফলে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে বের হয়ে সমতলে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৭ এর অভিযানে চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন কেরানীহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হোসাইন আহমদ, দশমিনা, পটুয়াখালী; নিহাল আব্দুল্লাহ, সদর, কুমিল্লা; আল আমিন, সদর, কুমিল্লা; আল আমিন @ পার্থ কুমার দাস, ডুমুরিয়া, খুলনা- এদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সহপাঠী, নিকটাত্মীয়, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তি বা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে উক্ত সংগঠনে যোগদান করে। বিভিন্ন সময়ে জামাতুল আনসারের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ভিডিও দেখানো, রাজনীতি, সমাজ ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করার মাধ্যমে তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়ে উৎসাহী করে তুলত। উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে গ্রেপ্তারকৃত হোসাইন ২০২১ সালে, আল আমিন ৭ মাস পূর্বে, আল আমিন (নওমুসলিম) ০৫ মাস পূর্বে এবং নিহাল আব্দুল্লাহ ০৭ মাস পূর্বে তথাকথিত হিজরতের উদ্দেশ্যে নিখোঁজ হয়। তথাকথিত হিজরতের প্রথমে তাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে রেখে পটুয়াখালী ও ভোলার চর এলাকা, ঢাকা ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শারীরিক কসরত, জঙ্গিবাদবিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, তাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করা হতো। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সমতল থেকে পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয় এবং শূরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে তারা পার্বত্য অঞ্চলের বাকলাই পাড়া হয়ে কেটিসি পাহাড়ে প্রশিক্ষণ শিবিরে পৌঁছায়। পার্বত্য অঞ্চলে তারা বিভিন্ন ধরনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, বোমা তৈরিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আরো জানায়, বিভিন্ন সময় কেএনএফ’র নাথান বম, বাংচুং, রামমোয়, ডিকলিয়ান, পাহল এবং কাকুলীসহ অনেকেই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আসত। প্রশিক্ষণের জন্য অস্ত্র ও অন্যান্য রসদ তারা অর্থের বিনিময়ে কেএনএফ’র সদস্যদের নিকট থেকে সংগ্রহ করত এবং কেএনএফ’র সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে উক্ত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রদান করত বলে জানা যায়। পরবর্তীতে পার্বত্য অঞ্চলে র‍্যাবের অভিযান শুরু হলে তারা সংগঠনের আমীরের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পার্বত্য অঞ্চলে আত্মগোপন করে। তারা ছোট ছোট গ্রুপে সাইজামপাড়া, মুন্নুয়াম পাড়া, রোয়াংছড়ি, পাইক্ষং পাড়া, তেলাং পাড়াসহ পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। গত চার দিন পূর্বে তারা সমতলে আসার উদ্দেশ্যে পাহাড়ের গহীন থেকে হেঁটে বান্দরবানের টঙ্কাবতী এলাকায় আসে। পরবর্তীতে আমীরাবাদ থেকে সিএনজিযোগে চট্টগ্রাম-টঙ্কাবাজার মহাসড়কে আসার পথে পটিয়া থানাধীন কেরানীহাট এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরো ৪-৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃত হোসাইন রাজধানীর একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছিল। সে ২০২১ সালে সিরাজের মাধ্যমে এই সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তী সময় সিরাজ তাকে সংগঠনের শূরা সদস্য রাকিবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সংগঠনের শূরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বাকলাই পাড়া হয়ে পাহাড়ে কেটিসিতে গমন করে। পাহাড়ে গমনের পর একে-৪৭সহ বিভিন্ন অস্ত্র চালনা, বোমা প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সামরিক কৌশলবিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। সে পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তবর্তী রেংক্লাং পাহাড়সহ পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান করে। পরবর্তীতে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে তারা বিভক্ত হয়ে ছোট একটি গ্রুপে পার্বত্য অঞ্চলে আত্মগোপন করে। গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন কুমিল্লার একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়ণরত ছিল। সে ২০২১ সালে মাদ্রাসার এক সহপাঠীর মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় এবং পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত ফাহিমের মাধ্যমে উগ্রবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ও পার্শ্ববর্তী দেশে মুসলিম নির্যাতনের ভিডিও কন্টেন্ট দেখে সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তীতে তথাকথিত হিজরতের নামে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পরিবার থেকে নিরুদ্দেশ হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থেকে জঙ্গিবাদবিষয়ক বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে গত ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সংগঠনের শূরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাহাড়ে গমন করে। পাহাড়ে আসার পর সে সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। গ্রেপ্তারকৃত মো. আল আমিন (নওমুসলিম) স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে। সে ২০১৮ সালে স্থানীয় এক ইমামের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর সে রাজধানীতে চলে আসে এবং সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করা শুরু করে। সে সিরাজের মাধ্যমে সংগঠনটিতে যোগদান করে। পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বরে শূরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে গমন করে। পাহাড়ে আসার পর সে সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। গ্রেপ্তারকৃত নিহাল আব্দুল্লাহ এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সে ২০২০ সালের শেষের দিকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে কুবা মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তার মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সংগঠনে যোগদান করে। সে গত ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখ তথাকথিত হিজরতের জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় কুমিল্লা, পটুয়াখালী, সাভার ও চাঁদপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থেকে জঙ্গিবাদবিষয়ক বিভিন্ন তাত্ত্বিক জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। সে হিজরতে থাকাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার ওপর তার নেতৃত্বে একটি হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সেই হামলার পরিকল্পনা নসাৎ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সংগঠনের শূরা সদস্য রাকিবের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বাকলাই পাড়া হয়ে কেটিসিতে গমন করে। কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া ৮ তরুণের মধ্যে সে একজন। পাহাড়ে আসার পর সে সব ধরনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।