ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ

মিলেনি নতুন করে কোনো লাশ বার বার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন

মিলেনি নতুন করে কোনো লাশ বার বার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বয়লার থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর তা সবখানে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও দায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের নিহত আহতদের স্বজনদের কান্না থামেনি। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো জটলা অব্যাহত ছিল। মর্গের সামনে অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করেন স্বজনরা। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার জন্য মালিকপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়াই অক্সিজেন প্ল্যান্টে কাজ চলছিল। তাই বিস্ফোরণে ছয় তাজা প্রাণ ঝরে যাওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানান উদ্ধার তৎপরতায় জড়িত সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গতকাল ভোর ৬টা থেকে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। তবে চালানো উদ্ধার অভিযানে কোনো মরদেহে মেলেনি। দুপুর ১২টা নাগাদ উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়। গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ল-ভ- হয়ে যায় পুরো প্ল্যান্টটি। ফায়ার সার্ভিসের টানা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, শনিবার রাত ৮টায় বন্ধ করা উদ্ধার অভিযান গতকাল ভোর ৬টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গ্যাসের সিলিন্ডারের বোতলগুলো সরানো হয়েছে। গতকাল অভিযান চলকালে কোনো মৃতদেহ উদ্ধার ও আহত কাউকে পাওয়া যায়নি। কোনো শ্রমিক নিখোঁজ থাকার বিষয়েও কারো কোনো দাবি নেই।

সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম আজ কাজ করেছে। এ সময় কোনো হতাহত পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। ওখানে এখন বিস্ফোরণের আর কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বয়লার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরপর শুরু হয় একের পর এক বিস্ফোরণ।

২৪ ঘণ্টায় খোঁজ মেলেনি মালিকপক্ষের

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণে ল-ভ- হওয়া সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের মালিক কর্তৃপক্ষের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি গতকাল রোববার পর্যন্ত। গত শনিবার দুর্ঘটনার পরও কারও খোঁজ মেলেনি। কেউ দেখতে আসেনি ঘটনাস্থল। বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে মালিকপক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পায়নি স্থানীয় প্রশাসন।

শিল্পে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন উৎপাদনকারী সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের অবস্থান সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে। ওই ঘটনায় শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ২২ জন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অক্সিজেন প্ল্যান্টটি গড়ে তোলা হয়। সেখানে সরু সড়কের দুই পাশে ৮-১০টি স্টিল রি-রোলিং মিল, তেলের রিফাইনারিসহ বেশ কয়েকটি শিল্পকারখানার পাশাপাশি বসতবাড়িও ছিল। বিস্ফোরণের পর এলাকাটি রূপ নিয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের কারখানা বসতবাড়ি। প্ল্যান্টের পুরো অংশে এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে সিলিন্ডার, লোহার টুকরো, ভেঙে একাকার হয়ে গেছে তিনটি ট্রাক। কারখানা থেকে ৫০ থেকে ৬০ গজ দূরে গিয়ে পড়ে রয়েছে লোহার টুকরো।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা হামিদ মিয়া বলেন, বিস্ফোরণের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বিস্ফোরণের কারণে আগুন লেগেছে। গত বছর ঠিক একইভাবে বিএম ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত প্ল্যান্টটিতে উৎপাদন করা হতো অক্সি-এসিটিলিন গ্যাস। এটি মূলত শিল্পে ব্যবহার করা অক্সিজেনের প্ল্যান্ট। অক্সি-এসিটিলিন গ্যাসের শিখা দিয়ে লোহার পাত কাটা হয়। একই সঙ্গে রি-রোলিং মিলে লোহা গলাতে ব্যবহার করা হয়। আশপাশের জাহাজভাঙা শিল্প ও স্টিল রি-রোলিং মিলে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে। এ কোম্পানির মালিকানাধীন শিল্প গ্রুপের জাহাজ ভাঙা শিল্প ও রি-রোলিং মিল রয়েছে। জাহাজভাঙা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি কারখানাটি গড়ে তোলেন। তার মৃত্যুর পর তার তিন ছেলে মামুন উদ্দীন, আশরাফ উদ্দীন ও পারভেজ উদ্দীন কোম্পানিটি চালাচ্ছেন। মামুন উদ্দীন এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সীতাকুন্ডের জাহানাবাদে এস ট্রেডিং নামে তাদের শিপইয়ার্ড রয়েছে। বানু বাজার এলাকায় সীমা স্টিল রি-রোলিং মিল নামে তাদের মালিকানাধীন আরেকটি কারখানা রয়েছে। ঘটনার পর মোবাইল ফোনে মামুন উদ্দীনের সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অনেকে বন্ধ পান বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্তৃপক্ষের খোঁজ নিতে থাকি। কিন্তু মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। হতাহত শ্রমিকদের সহায়তার বিষয়ে মালিকপক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

সীতাকুন্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি এ ব্যাপারে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। তবে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সীতাকুন্ড থানায় কোনও মামলা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান শেষ করার ঘোষণা দেয়ার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে এবং হতাহতদের তথ্য নিয়ে মামলা করা হবে। মালিকপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চমেকে স্বজনদের আহাজারি

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের আহাজারি চলছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে কারো হাত, কারো পা, কারো শরীরের বিভিন্ন স্থান আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

বিস্ফোরণে নিহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সেলিনা বেগম উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমার স্বামী সালেহ ঝুট মিলের ভেতর কাজ করতেন। যেটি ছিল সীমা কারখানা থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে। বিস্ফোরণে লোহার পাত উড়ে এসে আমার স্বামীর শরীরে পড়ে। স্থানীয় লোকজন চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। গত শনিবার বিকালে আমাকে ফোন করে জানানো হয়, আমার স্বামী মারা গেছেন। আমি শ্বশুরবাড়ী লক্ষ্মীপুরে থাকতাম। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে শনিবার রাতে এসে আমার স্বামীর লাশ শনাক্ত করি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক বলেন, এখন পর্যন্ত ছয়জন মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করা গেছে। আহতদের মধ্যে গতকাল সকালে দুইজনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বাকি ১৮ জনের মধ্যে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে সাতজন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড তিনজন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন ও আইসিইউতে দুইজন চিকিৎসাধীন।

মেলেনি পর্যাপ্ত সহায়তা : অক্সিজেন প্ল্যান্টে নিহত ও আহতদের স্বজনরা পর্যাপ্ত সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। বেসরকারিভাবেও তেমন সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে জেলা প্রশাসন সহায়তা দিয়েছে বলে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর পরই নিহত ও আহতদের পরিবারে সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সহায়তা বাবদ প্রতিজনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। তাদের সহায়তায় চিকিৎসা সহায়তা সেল খোলা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ রাখা হচ্ছে। নিহত ছয় জনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

হতাহতের সংখ্যা অপরিবর্তিত, মামলা করবে পুলিশ

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি নন্দন রায় জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় গত শনিবার বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের সময় সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ব্যাপারে সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, কারখানার মালিকপক্ষ এখনো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানা গেছে। তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষ হলেই মামলাটি রেকর্ড করা হবে। অক্সিজেন কারখানা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। এখানে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে। তবে কী ধরনের অবহেলা আছে, সেটা জানতে তদন্ত চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করলেই হতাহত মানুষের নাম ঠিকানা এজাহারে উল্লেখ করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

ওসি জানান, তদন্তে মালিকপক্ষের গাফিলতি পেলে তাদেরও আসামি করা হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হবে। কারখানা দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এদিকে দুর্ঘটনার সময় কারখানাটিতে ২৫ জন শ্রমিকসহ মোট ৪২ জন কাজ করছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম অলমোস্ট শেষ। ফায়ার সার্ভিসের কাজ তারা এরই মধ্যে ক্লোজ করেছে। আমরা ফের কোনো দুর্ঘটনার শঙ্কা করছি না। তবু আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি, কাউকে আশপাশে আসতে দিচ্ছি না। নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক আছে, সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারছে না। তবে এখানে আবার কোনো বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো ঝামেলার সম্ভাবনা নেই।

হতাহতদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা নিহত হয়েছেন তাদের অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বিএম ডিপোর মতো এখানেও মালিকপক্ষ থেকে একটা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর জেলা প্রশাসক আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসার ঘোষণা দিয়েছেন।

নিহতদের পরিচয় মিলেছে, লাশ হস্তান্তর

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ছয়জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিস্ফোরণে নিহত ছয়জন হলেন সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারি জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী বিএমএ গেট এলাকার আবুল বাসার মিয়ার ছেলে মো. ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার ছোট মনগড়া এলাকার চিকি রোঙ্গী লখরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), নোয়াখালী জেলার মাইজদী থানার অলিপুর এলাকার মৃত মকবুল আহমেদের ছেলে আবদুল কাদের (৫৮), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর থানার চর লরেন্স এলাকার মহিদুল হকের ছেলে মো. সালাহ উদ্দিন (৩০) ও ময়মনসিংহ জেলার সেলিম রিচিল। নিহত ছয়জনের মধ্যে শামছুল আলম ও সালাহউদ্দিন কারখানার কর্মী নন। ঘটনার সময় তারা কারখানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। তাদের ওপর লোহার টুকরো পড়ায় তারা মারা যান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত