ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

বারবার বিস্ফোরণ এবং ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা ন্যক্কারজনক

বারবার বিস্ফোরণ এবং ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা ন্যক্কারজনক

গত শনিবার গণমাধ্যমে ‘বিকট শব্দে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল আশপাশের এলাকা’ এবং রোববার ‘রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে পাশের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে একই ধরনের বিস্ফোরণে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হয়। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি মানুষের জীবনের অধিকারের জন্য হুমকি স্বরূপ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পাওে না। কমিশন মনে করে এসব ঘটনায় কোম্পানিগুলোর যেমন দায় রয়েছে একই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠাগুলোও দায়ভার এড়াতে পারে না। বারবার একই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা একটি কমিটি গঠন করে তার সুপারিশ মোতাবেক কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া গেলে সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করা সম্ভব হবে বলে কমিশন মনে করে।

বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করাসহ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে বলা হয়।

অন্যদিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘আহমদিয়াদের ওপর হামলা: কী ঘটেছিল পঞ্চগড়ে?’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। কমিশন মনে করে, ধর্ম বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। সব ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিপালন করবে বলে কমিশন এটাই প্রত্যাশা করে। সম্প্রীতি বিনষ্টকারী জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা না হলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে কমিশন মনে করে। এ ঘটনায় কমিশন নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে-

১. নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি ছিল কিনা এবং বিক্ষোভ, হামলা নিবৃত করতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কি না, প্রকৃত ঘটনা কী ইত্যাদি বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর ১৭ ধারা মতে কমিশনে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য জেলা প্রশাসক, পঞ্চগড়কে বলা হয়। ২. ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত এমন যে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে আরো সতর্ক থাকা ও মানুষের জানমাল সুরক্ষার জন্য কার্যকরি ভূমিকা পালনে পুলিশ সুপার, পঞ্চগড়কে পরামর্শ দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত