ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরিবেশবান্ধব পাট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে : পাটমন্ত্রী

পরিবেশবান্ধব পাট স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে : পাটমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, পাট খাত বিকাশের লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় পাট দিবস উদযাপিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় গবেষণা ও যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় পাট খাতের যুগোপযোগীকরণ, সৃজনশীল প্রয়োগ এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণের জন্য আমাদের সরকার নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা ও পরামর্শে আমরা পাটখাতের প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করতে পেরেছি। পরিবেশবান্ধব পাট জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের পাটপণ্য যাতে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয় সেলক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত গবেষণা ও উদ্ভাবন। পাটের উন্নত চাষাবাদ ও বহুমুখী ব্যবহারের জন্য আমাদের গবেষকরা কাজ করছেন। সভাপতির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের চাহিদাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর নেই। আমাদের বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাটবিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে। আমার চাই, এখন গবেষণার মাধ্যমে পাটের আরো মূল্য সংযোজিত স্মার্ট পণ্য উৎপাদনের পথ সুগম হোক। এজন্য আমাদের পাটের গবেষকদের আরও আন্তরিক গবেষণা প্রত্যাশা করি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। আমি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট চাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, পাটখাতে সরকার অংশীজনদের নীতি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। পাট খাতের আরেকটি সম্ভাবনাময় দিক উন্মোচন করেছে চারকোল। চারকোলের সম্ভাবনা বিপুল। আমরা পাঠকাঠি দিয়ে চারকোল বানিয়ে তা রপ্তানি করে ডলার আয় করছি। পাটপণ্যের রপ্তানি বড়াতে নানা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে পাটের জন্য আমাদের বাজার অনেক বড়। পরিবেশ আন্দোলন আমাদের সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলনে যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনাদের (রপ্তানিকারকদের) যেতে হবে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পাট দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও পাটপণ্যের প্রর্দশনীর আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এ বছর ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়া হয়। সেইসঙ্গে পাট সংশ্লিষ্ট ৯ সংগঠনকেও সম্মাননা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত