আজ পবিত্র শবেবরাত

প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মঙ্গলবার রাতে পবিত্র শবেবরাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখের এ মহিমান্বিত রাতকে মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্যের রজনী বা বরকতময় রাত হিসেবে অভিহিত করা হয়। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় মহান আল্লাহর রহমত কামনায় নফল ইবাদত-বন্দেগিসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে এ রাতটি অতিবাহিত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি মোবারকবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এ রাতের পবিত্রতা রক্ষায় বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মূলত, পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে শবেবরাতের এ রাত। ফার্সি ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত, আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ ভাগ্য। হাদিসের বর্ণনা মতে, বিশেষ এ রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা আগামী এক বছরের জন্য মানুষের রিজিক, জন্ম-মৃত্যু ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণসহ তার সৃষ্ট জীবের ওপর অসীম রহমত নাজিল করে থাকেন। এজন্য এ রাতকে শবেবরাত বা ভাগ্যরজনী বলা হয়। আজ মঙ্গলবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুরু হয়ে আগামীকাল বুধবার সূর্যোদয় পর্যন্ত শবেবরাতের এ রাতের ফজিলত অব্যাহত থাকবে। শবে বরাতের এই মহিমান্বিত রাতকে ‘লাইলাতুল মোবারাকা’ বা বরকতময় রাত বলেও অভিহিত করা হয়েছে। কোরআন মজিদের সুরা দুখানের শুরুতে লাইলাতুল মোবারাকা নামকরণের তাৎপর্য সম্পর্কে ইসলামী চিন্তাবিদদের দুটি মত রয়েছে। প্রথম মত হলো- এর অর্থ লাইলাতুল কদর। অপর মত অনুযায়ী এটি শবেবরাত। শবেবরাত নামকরণের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে : এ রাতকে লাইলাতুল মোবারকা নামে অভিহিত করার কারণ হচ্ছে, ‘এই পুণ্যরাতে বিশিষ্ট ফেরেশতারা দুনিয়াতে আগমন করেন, দুনিয়াতে আল্লাহর রহমতের বারিধারা বর্ষিত হয়। মানুষের আর্ত-ফরিয়াদ রাব্বুল আলামিনের দরবারে মঞ্জুর করা হয় এবং ইবাদত-বন্দেগির মর্যাদা ও গুরুত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। অথবা এর কারণ, এ রাতে মানুষের ধন-সম্পদ, জীবিকা ও জীবন-মৃত্যুসহ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির বার্ষিক বাজেট নির্ধারিত হয়। আর এই রাতে আল্লাহর দরবারে উম্মতের গোনাহ মুক্তির জন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কৃত সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে মঞ্জুর করা হয়। এই শেষোক্ত অর্থে একে লাইলাতুল বরাত বা মুক্তির রাত বলা হয়েছে।’ (তাফসিরে রহুল মাআনি সুরা দুখানের ৩নং আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গ)।