ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আগামী ৫ বছর হবে চ্যালেঞ্জিং

তৃতীয় মেয়াদে চীনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন জিনপিং

তৃতীয় মেয়াদে চীনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেন জিনপিং

শি জিনপিং গতকাল চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অক্টোবরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে শি আরো পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় চীনের পার্লামেন্ট তাকে প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়।

৬৯ বছর বয়সি শি তার শূন্য-কোভিড নীতি এবং এটি পরিত্যাগ করার পর অগণিত মানুষের মৃত্যুর জন্য ব্যাপক প্রতিবাদের মুখোমুখি হন। এই সপ্তাহের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস এসব বিষয়গুলো এড়ানো হয়েছে। শির মিত্র লি কিয়াংকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করতেও প্রস্তুত।

গতকাল প্রতিনিধিরা চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শিকে দায়িত্ব করেন এবং সর্বসম্মত ভোটে তাকে দেশটির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের প্রধান হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করেন।

বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ দ্য পিপল যেখানে একটি সামরিক ব্যান্ড ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক পরিবেশন করে।

মঞ্চের প্রান্তে একটি ডিজিটাল মনিটরে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মোট ২ হাজার ৯৫২ ভোটের মধ্যে সবক’টি ভোট শির পক্ষে যায়। এর ফলে শি আরেকটি মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তবে আগামী পাঁচ বছর শি জিনপিংকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বর্তমান কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে রয়েছে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, মানবাধিকার ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। গত মাসে গোয়েন্দা নজরদারি বেলুন পাঠানোর অভিযোগে শেষ মুহূর্তে চীন সফর স্থগিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। তবে নজরদারি বেলুন পাঠানোর বিষয়টি কঠোরভাবে অস্বীকার করেছে চীন।

ব্লিংকেন সফর বাতিল করার পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিভিন্ন মন্তব্য করা শুরু করে বেইজিং। গত সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গ্যাং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আগ্রাসী মনোভাব পরিহার না করে তাহলে দুই দেশের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব ও বিবাদ’ লেগে যেতে পারে; যার ‘পরিণতি’ হবে ভয়াবহ।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা চীনের উত্তরণ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে।

শি জিনপিং ২০১৩ সালে প্রথমবার চীনের প্রেসিডেন্ট হন। তৃতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আরো শক্তিশালী হয়েছেন শি। নিজের হাতে নিয়েছেন শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ। ফলে শি জিনপিং আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তাইওয়ানকে একত্রীকরণ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের দিকে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং।

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে আসার পর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় চীন। পেলোসি চলে যাওয়ার পরই ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে ঘিরে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং।

তাইওয়ানকে কখনো শাসন না করলেও চীন দাবি করে এটি তাদেরই অঞ্চল। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গতবছরও বলেছেন, তাইওয়ানকে প্রথমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একত্রীকরণ করার চেষ্টা করবেন তিনি। এতে কাজ না হলে শক্তি ব্যবহার করবেন। -বিবিসি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত