ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সংসদে হিন্দুদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণের দাবি

সংসদে হিন্দুদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণের দাবি

জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল ও দপ্তর সম্পাদক কল্যাণ মণ্ডলসহ আরো অনেকে। বক্তারা বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনসহ নানা কারণে তারা দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধানে জাতীয় সংসদ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কেননা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সংসদে কেউ নেই। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল ও ৭২-এর সংবিধান ফেরতের দাবিতে গড়ে ওঠা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দাবি পূরণ হয়নি। এ সত্ত্বেও বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর তারা সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন নামে দুটো প্রস্তাব নিয়ে এসে হিন্দু সমাজকে বিভ্রান্ত করছে। পরিষদটি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্যার সমাধান নয়, বরং তারা হিন্দু সমস্যাকে জিইয়ে রেখে নিজেদের সুবিধা আদায় করতে চায়। তারা বলেন, ১৯০৯ সালে অবিভক্ত ভারতে মুসলিম সম্প্রদায় পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবি করেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু ছিল। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচনের মাধ্যমে ৭২টি আসন নির্ধারিত ছিল। যার মধ্যে হিন্দুদের আসন ছিল ৬৯টি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এক পক্ষ সংরক্ষিত আসন ব্যবস্থা তুলে নেয়। তারা আরো বলেন, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন জাতীয় দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় সবসময়ই আওয়ামী সরকারকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। আমরা আগামী নির্বাচনের আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিল উত্থাপনের দাবি জানাই। তা না হলে দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত