ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিএসএমএমইউ’র চতুর্থ সমাবর্তন আজ

বিএসএমএমইউ’র চতুর্থ সমাবর্তন আজ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চতুর্থ সমাবর্তন আজ। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিকাল ৪টায় এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ভারতের বিহারে ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাজবর্ধন আজাদ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তন উপলক্ষ্যে স্টিয়ারিং কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজসাজ রব বিরাজ করছে।

এ উপলক্ষে চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর উচ্চতর শিক্ষা প্রদান ও গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং তা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় প্রয়োগ ঘটাতে চিকিৎসা গবেষণার ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এছাড়া শাহবাগের পুরোনো বেতার ভবনে আরেকটি বিশ্বমানের হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার পথিকৃৎ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। যেসব চিকিৎসক ও গবেষক চতুর্থ সমাবর্তনের মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করলেন, তারা দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্জিত জ্ঞান বৃহত্তর মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি তাদের অব্যাহত সাফল্য কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে গত ১৪ বছর স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। দেশের মেডিক্যাল উচ্চ শিক্ষার বিকাশে সরকার ১৯৯৮ সালে দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করে। সেই থেকে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও বিকাশ, স্বাস্থ্যখাতে উচ্চতর গবেষণা এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বাংলাদেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সকল ধরণের গবেষণা উপযোগী আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী সকল শিক্ষার্থী রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা অবদান রাখাসহ দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবাকে আরও সমৃদ্ধ করবেন এবং জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সমাবর্তন উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবকিছুই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশে^র বুকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব এই হলো চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য হিসেবে আমার অঙ্গীকার।

এবারের সমাবর্তনে সাড়ে তিন হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসক, সেবিকা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে- মেডিসিন অনুষদে প্রায় আটশ’, সার্জারি অনুষদে প্রায় এক হাজার চারশ’, শিশু অনুষদে প্রায় তিনশ’, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল অনুষদে পাঁচ শতাধিক, প্রিভেনটিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদে প্রায় তিনশ’, ডেন্টাল অনুষদে শতাধিক স্নাতকোত্তর চিকিৎসক এবং নার্সিং অনুষদে শতাধিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সেবিকা।

সমাবর্তনে ৩৫ জন মেধাবী স্নœাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসক, সেবিকাকে চ্যান্সেলর কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত