প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভুটান

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভুটানকে বাংলাদেশের সড়ক ও বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে চুক্তি করতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোট সাতটি এজেন্ডা উত্থাপন করা হয়।

তিনি বলেন, ভুটান একটি ল্যান্ড লক (ভূমিবেষ্টিত) দেশ। আমদানি-রপ্তানিতে তাদের নিজস্ব কোনো নদী বা সমুদ্র বন্দর নেই। সেক্ষেত্রে তারা ভারতের কাছেও একই ধরনের সুবিধা নিয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশের বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানির কাজ চালানোর একটি সুযোগ তারা পাচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর আওতায় ভুটান বাংলাদেশের ভূখণ্ড আমদানি-রপ্তানির প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। বন্দরও ব্যবহার করতে পারবে। এই চুক্তি অনুমোদনের পর এখন বিষয়টি এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কাছে যাবে। এর জন্য তারা কী পরিমাণে বা কী হারে রাজস্ব দেবে সেটা এনবিআর ঠিক করবে। সবকিছু শেষে চূড়ান্ত একটি চুক্তি হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও ট্রানজিট চুক্তি আছে। ট্রানজিট চুক্তির আলোকে ভারত বাংলাদেশের কয়েকটি বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) গঠন করতে ‘বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি’ আইন ২০২৩-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সিপিটিইউ (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট) আছে, একটি ইউনিট হিসেবে। এই ইউনিটটি পরিবর্তন হয়ে অথরিটি হবে। এখন একটা আলাদা অফিস হবে। সিপিটিইউ গণখাতে পাবলিক সেক্টরের ক্রয়ের ক্ষেত্রে আইন, বিধি প্রণয়ন করে। আমাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়, পরামর্শ দেয়। অথরিটিও এই কাজগুলো অব্যাহত রাখবে। প্রাথমিকভাবে অথরিটির অফিস ঢাকা কেন্দ্রিক হবে। প্রয়োজন হলে ঢাকার বাইরেও অফিস হবে। অন্যদিকে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে পুরাতন আইন থাকায় ২০১৯ সালে অনুমোদিত এ সংক্রান্ত নতুন আইনের খসড়া বাতিল করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯-এর বিষয়ে মন্ত্রিসভার একটি নীতিগত সম্মতি ছিল। কিন্তু নীতিগত সম্মতি নিয়ে ভেটিংয়ের জন্য এটি লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হয়। পরে দেখা গেছে, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ সংক্রান্ত একটি আইন পাস হয়ে আছে। সে আইনে বলা ছিল- সরকার আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করলে সেটি কার্যকর হবে। কিন্তু আইনটি পাস হলেও সে সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর পরবর্তীতে আর কেউ এটি নিয়ে কাজ করেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনও করা হয়নি। একই স্থানে ও একই বিষয়ে দুটি আইন থাকার যুক্তিযুক্ত না থাকায় ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর রেখে ২০১৯ সালের নীতিগতভাবে পাস হওয়া আইনটির খসড়া বাদ দেয়া হয়েছে।