ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ময়মনসিংহের রেলস্টেশন

তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে দুদকের বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে দুদকের বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

ময়মনসিংহে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া ৬০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গণশুনানি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় গণশুনানির নোটিশ পেয়েও উপস্থিত না থাকার কারণে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন তত্ত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) এসএম নাজমুল হক খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে এই গণশুনানির আয়োজন করে দুদক বিভাগীয় ও জেলা সমন্বিত কার্যালয়। এ সময় সেবাবঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হওয়ায় ভুক্তভোগীদের দায়ের করা ৬০টি অভিযোগের গণশুনানি করেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।

এতে অভিযোগকারি বিচারপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জবাবদিহি কর্মকর্তারা উপস্থিত হলে শুনানির মাধ্যমে বেশিরভাগ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়।

এ সময় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সদর সাবরেজিস্ট্রার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রেলওয়ে, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সোনালি ও কৃষি ব্যাংক, জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ ও সমাজসেবা কার্যালয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বেশ কিছু অভিযোগ আগামী সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়।

সেই সঙ্গে যেসব অভিযোগ ও ঘটনার সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পালন করারও নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত)। এই গণশুনানির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান। এর আগে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক বলেন, প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এই পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত সমাজে তারা ভিআইপি ও সিআইপি হিসেবে পরিচিত। এই অবস্থায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধের চেয়ে নিজেকে দুর্নীতি মুক্ত রাখব’ এই স্লোগান বাস্তবায়নের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য আমি চাই ময়মনসিংহ দুর্নীতি মুক্ত মডেল জেলা হিসেবে দেশে পরিচিতি লাভ করুক। এজন্য সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতা অপরিহার্য।

এই দুদক কর্মকর্তা আরো বলেন, দেশে ২৭টি দফায় দুর্নীতি হয়। এর মধ্যে দুদক শুধু একটি দফা নিয়ে কাজ করে থাকে। বাকি ২৬টি দফা সরকারের অন্যান্য দপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট ২৭টি দফাই দুদকে হস্তান্তরের জন্য সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে একটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে।

এছাড়াও গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসিবে আরো বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ (পুলিশ) ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (প্রতিরোধ) মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদক ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ঋত্বিক সাহা। এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা. হরিশঙ্কর দাস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত