চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ সময় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানসহ কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটি সিলগালা প্রতিবেদন আমি পেয়েছি। তবে এখানে কী আছে, তা আমার জানা নেই। এ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসে, আমরা সেভাবে কাজ করব।
ডিসি বলেন, সীতাকুণ্ডে বার বার দুর্ঘটনার জন্য অপরিকল্পিত শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা অন্যতম দায়ী। আগুন লাগলে সেখানে পানির পর্যাপ্ত রিজার্ভার নেই। এ কারণে ক্ষতি বাড়ে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এ কারণেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ছোট, বড় ও মাঝারি শিল্প কারখানাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ সময় কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান, তদন্ত প্রতিবেদনে ৯টি সুপারিশ করা হয়েছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে এ কারণেই এসব সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্তে কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে কী কী উদ্যোগ নিতে হবে, তাও তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, অক্সিজেন কারখানায় এ ধরনের দুর্ঘটনা দেশে প্রথম। গত ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে মাত্র চার থেকে পাঁচটি। তাই অনেক গুরুত্ব দিয়ে এ তদন্ত কাজ করতে হয়েছে।
গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হন। আহত হন ৩০ থেকে ৩৫ জন। ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসানকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক।
